ভাইয়ের কবরে পাশে সাকা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মুজাহিদের শেষ ঠিকানা
প্রকাশ: ২০১৫-১১-২২ ০০:০১:৫১
সাকা চৌধুরীর প্রয়াত ভাই সাইফুদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হবে। সাকা পত্মী ফোনে বিষয়টি তাঁর চাচাত দেবর ফেরদৌস চৌধুরীকে জানিয়েছেন। অন্যদিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদকে ফরিদপুরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি রাউজানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাকা চৌধুরীর বাড়ী এবং গোটা রাউজানে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা টহল দিচ্ছে। টহলে বিজিবি সদস্যরাও রয়েছে। এদিকে, আওয়ামী যুবলীগ ও মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান নিয়েছে রাউজানের বিভিন্ন পয়েন্টে। সাকা চৌধুরীর কবর খোড়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৪ ব্যক্তি। রাউজান থানা পুলিশ তাদেরেক প্রস্তুত রেখেছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা। সাকা চৌধুরীর প্রয়াত ভাই সাইফুদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হবে। সাকা পত্মী ফোনে বিষয়টি তাঁর চাচাত দেবর ফেরদৌস চৌধুরীকে জানিয়েছেন।
ফরিদপুর প্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদকে ফরিদপুরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে। রাতেই ফাঁসি কার্যকর হবে এমন খবরে এরই মধ্যে জামায়াত-শিবিরের ফরিদপুরের শীর্ষ নেতাকর্মী ও ফরিদপুরের স্বজনরা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অবস্থান করছেন। তবে নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক পুলিশ সদস্য, আমর্ড পুলিশ ও র্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে মুজাহিদের বাড়ি ও আশেপাশের এলাকায়।
এর আগে মুজাহিদের বড় ভাই জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আলী আফজাল মোহম্মদ খালেছ বলেছিলেন, আমার তিন ভাই আলী ইকবাল মোহম্মদ তৌফিক, আলী আজম মোহম্মদ রেজওয়ান, আলী আশরাফ মোহম্মদ শোয়ায়েব ও মা নুর জাহান খানমের কবর ফরিদপুর আলীপুর কবরস্থানে।
তিনি বলেন, ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হলে তাকে ফরিদপুরে নিয়ে যাওয়া হবে এবং তিন ভাই ও মায়ের কবরের আশে পাশেই মুজাহিদকে দাফন করার ইচ্ছা ছিল। তবে সেখানে অনুমতি না মেলায় ওই মাদ্রাসায় তাকে দাফন করা হতে পারে। এদিকে ফাঁসির রায় কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে ব্যাপক নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে।
রাত ৮টার পর মুজাহিদের বাড়ি ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহর জুড়ে র্যাব টহল দিচ্ছে। এর বাইরে সাদা পোশাকেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা জোরদারে মাঠে রয়েছে।