স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সাংবাদিকরা সাকা চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার কাগজপত্র দেখানো যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো সিক্রেট জিনিস। এগুলো দেখানো যাবে না।’
রোববার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিলেন। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহের সুযোগ নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সাকা চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তবে রাষ্ট্রপতি তা নাকচ করে দিয়েছেন।’
পরিবারের পক্ষ থেকে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদ যে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন এতে কোনো সন্দেহ থাকার সুযোগ নেই। এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র, চিঠিপত্র আমাদের কাছে আছে। তাদের দুজনের প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদনপত্র ঠিক আছে কি না, সে বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে তা প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা নিজেরাই দেখেছেন, সাকা চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী তার বাবার জন্য সব জায়গায় গেছেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রী এমনকি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন। এ থেকেই বোঝা যায়, তারা সাকা চৌধুরীর প্রাণ রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন।’
সাংবাদিকরা সাকা চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের প্রাণভিক্ষার কাগজপত্র দেখানো যাবে কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলো সিক্রেট জিনিস। এগুলো দেখানো যাবে না।’
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসির প্রতিবাদে দলটির ডাকা সোমবারের হরতালকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না, জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘জামায়াতের হরতালে কী হয় আপনারা দেখেছেন। তাদের সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা নেই। সাকা-মুজাহিদের ফাঁসিতে দেশবাসী খুশি। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা নেই। তা ছাড়া, আমাদের গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর আছে।’