সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দাবি মেনে নেয়া না হলে আগামী ৬ অক্টোবর থেকে কর্মসূচি শুরু করা হবে। পাশপাশি আগামী ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া পিএসসি পরীক্ষাও বর্জন করা হবে
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি চট্টগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক কাইছারুল আলম। এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক রণজিৎ ভট্টাচার্য, কৃষ্ণা দাশগুপ্তা, তসলিম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী, নিপক কুমার লাল, নুরুল হুদা, রিংকু দাশসহ বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এক গবেষণার বরাত দিয়ে লিখিত বক্তব্যে কাইছারুল আলম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ করলে মুনাফা পাওয়া যায় ৩৫ শতাংশ, মাধ্যমিক শিক্ষায় বিনিয়োগ করলে মুনাফা পাওয়া যায় ৯ শতাংশ এবং উচ্চ শিক্ষায় বিনিয়োগ করলে মুনাফা পাওয়া যায় ১১ শতাংশ। তাই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতিতে প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
কাইছারুল আলম বলেন, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদায় উন্নীত করার ঘোষণা দেন। ঘোষণার প্রায় দেড় বছর পার হলেও এখনও পদমর্যাদা অনুযায়ী ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষকদের পাঁচ দফা দাবি মেনে না নেওয়া হলে আগামী ১ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত প্রধান শিক্ষকদের চেয়ার বর্জন, ৩ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং ৬ অক্টোবর থেকে লাগাতার কর্মবিতরতি পালন করা হবে।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ