বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) ২০২০-২১ সালের মেয়াদে নির্বাহী কমিটিতে নতুন চারমুখ। যদিও ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে আবেদন করেছে ১০ জন। আইনের ফান্দের কারণে এমনটি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, বিএমবিএ'র নির্বাচন করতে হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন লাগবে। অনেকই নির্বাচন করতে আগ্রহী হলেও পর্ষদের অনুমোদন না থাকায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। ফলে যে ১০ জন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তারা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সূত্র মতে, নতুন চারমুখ হলেন-আলফা ক্যাপিটাল ম্যানেজম্যান্টের এমডি ও সিইও নুর আহামেদ, সন্ধানী লাইফ ফাইন্যান্সের এমডি ও সিইও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের এমডি ও সিইও মো. হামদুল ইসলাম এবং এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের এমডি ও সিইও মো. ওবায়দুর রহমান।
বাকীরা হলেন- ইবিএল ইনভেস্টমেন্টের পরিচালক ও ইবিএল সিকিউরিটিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) মো. ছায়েদুর রহমান,আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের এমডি মো. মনিরুজ্জামান,এএফসি ক্যাপিটালের সিইও মাহবুব এইচ মজুমদার, বিএমএসএল ইনভেস্টমেন্টের এমডি ও সিইও মো. রিয়াদ মতিন, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজম্যান্টের ভারপ্রাপ্ত সিইও সোহেল রহমান এবং সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেসের এমডি মো. আবু বকর।
এদিকে সদস্য পদে ১টি শূন্য আসনে করণীয় নিয়ে আগামি ২১ ডিসেম্বর বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত কার্যনির্বাহি সদস্যদের প্রথম সভায় আলোচনা করা হবে। এক্ষেত্রে নতুন কমিটি ওই শূন্য পদের জন্য পূণরায় তফসিল ঘোষণা অথবা নিজেরা যেকোন ১জনকে বাছাই করে নিতে পারবে। তবে বাছাই করা সদস্য সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারন সম্পাদকসহ অন্যান্য পদগুলোতে নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোট দিতে পারবেন না।
সদস্যদের ২১ ডিসেম্বরের প্রথম সভায় সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারন সম্পাদকসহ অন্যান্য পদগুলোর জন্য নির্বাচন হবে। একইসঙ্গে ওইদিনই এইসবে পদে জয়ীদের নাম প্রকাশ করা হবে।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিএমবিএর ২০২০-২১ সালের নির্বাচনের জন্য সিডিউল ঘোষণা করা হয়। মুহাম্মদ এ হাফিজকে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান করে ঘোষিত এ নির্বাচন সিডিউল ঘোষণা করা হয়। এতে সদস্য করা হয় তানিয়া শারমিন ও মোঃ ইসরাইল হোসেনকে।
গত ৪ নভেম্বর কার্যনির্বাহি সদস্য পদের জন্য মনোনয়ন পত্র বিতরন শুরু হয়। যা দাখিলের জন্য সর্বশেষ সময়সীমা ছিল ১৪ নভেম্বর। যা যাছাই-বাছাই শেষে ১৬ নভেম্বর বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্যে আগামি ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সময় থাকবে। একইদিন বিকাল ৪টায় চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হবে