মাসখানেক ধরেই দেশে পেঁয়াজের বাজার লাগামহীন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। তবুও দাম এখনো হাতের নাগালে আসেনি নিম্নবিত্তদের। একারণে, সুযোগে বেশি লাভের আশায় অনেকেই অপরিপক্ক, এমনকি গাছসহ ছোট পেঁয়াজও বাজারে তুলছেন। চাহিদা থাকায় দামও পাচ্ছেন ভালো।
বাজারে নতুন ও গাছসহ পেঁয়াজ আসায় দাম কমেছে আগেরগুলোরও। মাত্র একদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে পেঁয়াজের দাম।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে, মিশরের পেঁয়াজ ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। গাছসহ (আকারভেদে) পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। অথচ, একদিন আগেও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা ও মিশরের পেঁয়াজ ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজিতে।
ফরিদপুর থেকে শফিউল্লাহ এক পিকআপ কাঁচা পেঁয়াজ এনেছেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারে। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দর বেশি হওয়ায় কৃষক এখন ছোট পেঁয়াজও বাজারে আনছেন। দাম বেশি হওয়ায় গাছসহ পেঁয়াজের চাহিদাও বেশ। ক্রেতার চাহিদা আর কৃষকের লাভের বিষয় বিবেচনা করে আমরা বাজারে এসব পেঁয়াজ আনছি।
এদিন কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে গাছসহ পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। হাত বদলে এসব পেঁয়াজ (খুচরা) বিক্রি হচ্ছে ৬০০ বা ৭০০ টাকা পাল্লা।
কারওয়ান বাজারের গাউসিয়া ভাণ্ডারের (আড়ত) স্বত্বাধিকারী মোস্তফা কামাল বলেন, গত তিন-চার দিন ধরে গাছসহ (অপরিপক্ক) পেঁয়াজ বাজারে আসছে। তবে চাহিদা বাড়ায় এখন আরও বেশি আসছে। এর প্রভাবে চাহিদা কমেছে অন্য পেঁয়াজের, দামও কমেছে সবগুলোর। এভাবে পেঁয়াজ এলে দুই-তিনদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক হবে পেঁয়াজ বাজার।
এদিকে, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় অব্যাহত রয়েছে টিসিবির খোলা বাজারে ট্রাক সেলে পেঁয়াজ বিক্রি। দীর্ঘসময় সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের।
এ বিষয়ে টিসিবির ডিলার রফিকুল ইসলাম বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় সরকারিভাবে ট্রাক সেলে বিক্রি চলছে অনেক আগে থেকেই। আমরা সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিনই পেঁয়াজ বিক্রি করছি। প্রতিদিন একেকটি ট্রাকে এক হাজার কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছি। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের বিক্রি অব্যাহত থাকবে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস