ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতার হাতে ২০০% ক্যাশ ভাউচার তুলে দিলেন মাশরাফি
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০১৯-১২-০৩ ০৩:৫১:২৯
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন সারা দেশের অসংখ্য ক্রেতা। তাদের মধ্যে একজন রাজধানীর তেজগাঁওয়ের মো. শাহিন। ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার পেয়ে মহাখুশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এই পরিছন্নতাকর্মী। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার হাত থেকে ওই ক্যাশ ভাউচার পেয়ে আবেগাপ্লুত তিনি।
উল্লেখ্য, অনলাইনে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল ডাটাবেইজ তৈরি করছে ওয়ালটন। এর মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও গ্রাহক দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে সহজেই কাঙ্খিত সেবা নিতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। এর আওতায় ‘উইন্টার ফেস্টিভ্যাল’ এ ফ্রিজের ক্রেতাদের ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচারের সুযোগসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাক দেয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে এক অনুষ্ঠানে মো. শাহিনের হাতে ২০০ শতাংশ ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মাশরাফি বিন মুর্তজা, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ এবং নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম।
এ সময় মো. শাহিন জানান, তিনি দক্ষিণ বেগুনবাড়ির ওয়ালটনের পরিবেশক ‘খাঁন ইলেকট্রনিক্স’ থেকে একটি ফ্রিজ কেনেন। টেম্পার্ড গ্লাস ডোরের ৩৩৭ লিটারের ওই ফ্রিজটি বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি রেটিং প্রাপ্ত। এরপর ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে রেজিস্ট্রেশন করলে ২০০ শতাংশ ক্যাশভাউচার পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে। ওই টাকায় একই শোরুম থেকে আরো একটি ফ্রিজ, একটি টেলিভিশন এবং দু’টি মোবাইল ফোন কিনেছেন শাহিন।
অনুষ্ঠানে মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন মডেল, দাম ও আয়তনের ফ্রিজ রয়েছে ওয়ালটনের। সাশ্রয়ী দামে বিশ্বমানের ফ্রিজ দিয়ে দেশের বাজারে শীর্ষে ওয়ালটন। ফ্রিজসহ ওয়ালটন পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। ওয়ালটন বাংলাদেশের সম্পদ।
গোলাম মুর্শেদ জানান, আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ফ্রিজে ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার, ন্যানো হেলথ কেয়ার ও এন্টি ফাংগাল ডোর গ্যাসকেট প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন। দেয়া হচ্ছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। এর সঙ্গে সাশ্রয়ী মূল্য এবং কিস্তি সুবিধা থাকায় দেশের বাজারে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে ওয়ালটন ফ্রিজ।
তিনি বলেন, বিশ্বের যে কোনো দেশের ক্রেতাদের অভ্যাস, রুচি, মানদন্ড ও ব্যবহার উপযোগি ফ্রিজ তৈরির সক্ষমতা রয়েছে ওয়ালটনের। ভারতের বাজারে ওয়ালটনের তৈরি ফ্রিজ বিক্রিতে হুন্দাই ও রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের মাধ্যমে আমেরিকায় যাচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। এছাড়া বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের নামে চাহিদা মোতাবেক পণ্য তৈরি করে দিতে কাজ চলছে।
ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, দেশজুড়ে তাদের রয়েছে ১৭ হাজারেরও বেশি শোরুম। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে দেড় শতাধিক মডেল ও ডিজাইনের ফস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ। দাম ১০ হাজার থেকে ৬৯,৯০০ টাকার মধ্যে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি কিস্তিতেও ওয়ালটন পণ্য কেনার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ঘরে বসে অনলাইনের ইপ্লাজা.ওয়ালটনবিডি.কম (বঢ়ষধুধ.ধিষঃড়হনফ.পড়স) থেকে ফ্রিজসহ সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য কেনা যাচ্ছে। কিস্তি এবং অনলাইনে কেনা ফ্রিজেও ২০০% ক্যাশ ভাউচারসহ নিশ্চিত ক্যাশব্যাক পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭২টি সার্ভিস পয়েন্ট।
উল্লেখ্য, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরে রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস