খাতুনগঞ্জ বাজার
আদা-রসুনের দাম কেজিতে ৪০-৬০ টাকা কমেছে
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-১২-০৮ ১৫:৩৩:০৪
ভোগ্যপণ্যের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী বেশির ভাগ পণ্যের দাম। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অস্থির হয়ে উঠেছিল পেঁয়াজ, আদা, রসুন, এলাচসহ কয়েকটি মসলা পণ্যের বাজার। এর মধ্যে এখনো ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে পেঁয়াজের দাম।
তবে কয়েকদিনে স্বস্তি এসেছে আদা-রসুনের বাজারে। টানা কয়েক মাস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গত সপ্তাহে পণ্য দুটির দাম কেজিতে ৪০-৬০ টাকা কমেছে। চাহিদার চেয়ে আমদানি বৃদ্ধি ও দেশীয় পণ্যের মৌসুম হওয়ায় সরবরাহ বেড়ে পণ্য দুটির দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আড়ত ও দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক দিন ধরে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ৬০-১১০ টাকা দামে।
এর মধ্যে দেশী আদা ৬০-৮০ টাকা, আমদানীকৃত চীনা আদা ১০০-১১০ টাকা, মিয়ানমারের আদা ৬০-৭০ টাকা এবং কেরালার আদা ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও পাইকারি পর্যায়ে দেশী আদা ১০০-১২০ টাকায়, চীনা আদা ১৫০-১৮০ টাকা, মিয়ানমারের আদা ১০০-১২০ টাকা এবং কেরালার আদা ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি আদার দাম ৪০-৬০ টাকা কমেছে।
এদিকে গত এক সপ্তাহে পাইকারি পর্যায়ে রসুনের দামও কেজিতে ৪০-৬০ টাকা পর্যন্ত কমে এসেছে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আমদানীকৃত চীনা রসুন বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৮০ টাকার মধ্যে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৬০ টাকা পর্যন্ত কমে বর্তমানে প্রতি কেজি চীনা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়। বাজারে সরবরাহ বেশি না থাকলেও বর্তমানে প্রতি কেজি দেশী রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়, যা ঊর্ধ্বমুখী বাজারে ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চার-পাঁচ মাস ধরে টানা ঊর্ধ্বমুখী ছিল আদা ও রসুনের দাম। সাধারণত প্রতি কেজি আদা-রসুনের দাম থাকে সর্বোচ্চ ৫০-৬০ টাকা। কিন্তু গত কয়েক মাসে দফায় দফায় বেড়ে পণ্য দুটির দাম ১৮০-২০০ টাকায় পৌঁছে। তবে এক সপ্তাহ থেকে এগুলোর বাজার নিম্নমুখী হতে শুরু করে। এ সময়ের মধ্যে পণ্য দুটির দাম কেজিতে কমপক্ষে ৫০-৬০ টাকা কমেছে।
দাম কমে যাওয়ার বিষয়ে খাতুনগঞ্জের মেসার্স গ্রামীণ বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী বলয় কুমার পোদ্দার বলেন, দীর্ঘদিন দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় পণ্য দুটির আমদানি বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা।
এতে চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণত চীন থেকে আদা আমদানি হলেও ঊর্ধ্বমুখী দামের কারণে গত কয়েক মাসে মিয়ানমার ও ভারতের কেরালা রাজ্য থেকে আদা এসেছে। এছাড়া গত দুই সপ্তাহ থেকে দেশীয় নতুন মৌসুমের আদাও এসেছে। ফলে বাজারে আদা ও রসুনের সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে। এতে পণ্য দুটির দাম আগের চেয়ে কেজিতে ৪০-৬০ টাকা কমে এসেছে।
কাঁচাপণ্য ব্যবসায়ীদের সংগঠন হামিদুল্লাহ মার্কেট কাঁচাপণ্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিচ বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কয়েক মাস ধরে আদা ও রসুনের দাম ঊর্ধ্বমুখী। মৌসুম শেষ হওয়ায় এ সময়ে দেশীয় আদা-রসুন কম ছিল। তবে গত দুই সপ্তাহ থেকে নতুন মৌসুমের আদা বাজারে আসছে।
এছাড়া আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রসুনের সরবরাহও বেড়েছে। ফলে পণ্য দুটির দাম অনেক কমে আসছে। মূলত আমদানীকৃত পণ্যের ওপর নির্ভরতার কারণে যখন-তখন বাজার অস্থির হওয়ার সুযোগ তৈরি হয় বলে মনে করেন প্রবীণ এ ব্যবসায়ী। সূত্র: বণিক বার্তা
সানবিডি/ঢাকা/এসএস