আগামী ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে চাকরিতে যোগদানের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে সরকারকে নতুন করে আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নেতারা। এসময়ের মধ্যে দাবি না মানলে তারা কঠোর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা পঞ্চম দিনের গণঅনশন কর্মসূচি পালনকালে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়।
আন্দোলনরতরা বলেন, গত পাঁচ দিন ধরে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করাসহ চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রেসক্লাবের সামনে টানা অনশন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) কাফনের কাপড় পরে অনশন করছি আমরা। কিন্তু এখনো কোনো অগগ্রতি হয়নি, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি। এ অবস্থা চলতে পারে না, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে। আমরা আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় দিতে চাই। এ সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।
তবে, কঠোর কর্মসূচি কী হবে তা এখনই জানাননি আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মুজাম্মেল মিয়াজী বলেন, ৪১তম বিসিএসে চাকরিতে যোগদানের বয়সমীমা ৩৫ অন্তর্ভুক্ত করে পুনরায় সার্কুলার প্রকাশের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত কাফনের কাপড় পরে গণঅনশন চালাবো। আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। আশা করি বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা আমাদের সন্তান স্বরূপ বিবেচনা করে চার দফা দাবি মেনে নেবেন।
তাদের চার দফা দাবি হলো- চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৫ বছরে উন্নীত করা, অমানবিক আবেদন ফি কমিয়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে নির্ধারণ, নিয়োগ পরীক্ষাগুলো জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে নেওয়া এবং তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নসহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা।
আন্দোলনরতদের পক্ষে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক সুরাইয়া ইয়াসমিন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক উজ্জল সরকার, রেশমা আক্তার, মুসাদ্দেক আলী, নাজিম উদ্দিন, এস এ সজীব আহমেদ, উজ্জল কুমার প্রমুখ।