সাক্ষাৎকারে ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান
বাজারে সুবিধা নিচ্ছে অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-১২-১৫ ১৪:১৯:১৫
বাজারে শীতের সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ কাজে আসছে না। গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে পেঁয়াজ দিয়ে শুরু। এরপর একে একে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, সয়াবিন তেল, ডিমসহ নানা পণ্যের দাম বেড়েছে। সম্প্রতি সরকারের দেওয়া এক পরিসংখ্যানেও বলা হয়, দেশের মূল্যস্ফীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে পেঁয়াজের বাজার। এর ফলে দেশের সাধারণ ভোক্তাদের আয় না বাড়লেও খরচ বাড়ছে হু হু করে। এই অবস্থা থেকে কিভাবে বের হয়ে আসা যায় এ নিয়ে কথা হয় কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমানের সঙ্গে।
তিনি বলেন, বাজারে চাহিদা ও জোগানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে সরকার। প্রয়োজনে প্রণোদনা দেবে। তবে সম্প্রতি ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর সরকারের কোনো উদ্যোগ কাজে লাগেনি। বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা তখন সুযোগ নিয়েছেন। গোলাম রহমান বলেন, বাজারের সরবরাহ ঘাটতি পূরণে আমদানিকারকদের অনেক সুযোগ-সুবিধা দেয় সরকার। এত সুবিধার পরও আশানুরূপ ফল আসেনি। বরং ব্যবসায়ীরা কয়েক শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
বাজার ব্যবস্থাপনার ত্রুটির কথা উল্লেখ করে গোলাম রহমান বলেন, কিছু ত্রুটির ফলে কয়েকটি পণ্যের বাজার কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে চলে গেছে। তাঁরা তখন বাজার মেকানিজম করেছেন। সরকারের উচিত এসব ক্ষেত্রে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করা। বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ে—এ জন্য ব্যবস্থা নেওয়া।
সরকার এ জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে জানতে চাইলে গোলাম রহমান বলেন, প্রয়োজনে সরকার বাজারে হস্তক্ষেপ করবে। আমদানি, উৎপাদন, গুদামজাত করা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের অংশীদারি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সরকারের ভূমিকা হবে নিয়ন্ত্রকের।
তিনি আরো বলেন, অক্টোবর মাসে সরকার সরাসরি আমদানির মাধ্যমে বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহের উদ্যেগী হলে মূল্য পরিস্থিতির এতটা অবনতি হতো না। বাজার ব্যবস্থা যখন অকার্যকর হয়ে পড়ে, তখন জনস্বার্থে শুধু ব্যবসায়ীদের ওপর নির্ভর না করে সরকারের উচিত সরাসরি ব্যবসায় নেমে পণ্য সরবরাহ বাড়ানো। ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পৃথক বিভাগ অথবা স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় করতে পারে। সূত্র: কালের কণ্ঠ
সানবিডি/ঢাকা/এসএস