পরিবারের একমাত্র সন্তান অজুর্ন সিং। ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছে মাত্র পাঁচদিন (১৮ নভেম্বর) আগে। কিন্তু, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে এরই মধ্যে পরিবারের সবাইকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন ওপারে। তবে একা নন, সঙ্গে ছিলেন নববধূ বন্দনা সিং।
কোনো ‘আত্মহত্যার’ ঘটনা নয় এটি। সোমবার (২৩ নভেম্বর) ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য জম্মু-কাশ্মীরে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে পাইলটসহ কমপক্ষে সাতজন নিহত হওয়ার ঘটনায় হতভাগ্যদের মধ্যে ছিলেন এ নবদম্পতি। এ ঘটনায় মহেশ নামে তাদের এক আত্মীয়েরও মৃত্যু হয়।
জম্মু-কাশ্মীরের কাতরা শহরের বিষ্ণু দেবী মন্দির থেকে ফেরার পথে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মনোহর সিং নামে তাদের এক আত্মীয় জানান, গত ১৮ নভেম্বর তাদের বিয়ে হয়। মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় দুই পরিবারকে শোকের সাগরে ভাসতে হলো।
বেসরকারি হিমালিয়ান হিল সার্ভিসেস পরিচালিত ওই চপারটি বিধ্বস্তের ঘটনায় এর নারী পাইলটেরও মৃত্যু হয়। সুমিতা ভিজয়ন নামে ওই নারী বিমান বাহিনীর সাবেক পাইলট ছিলেন।
জানা যায়, পরিবারের একমাত্র সন্তান অর্জুন ভারতীয় বিমান বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। জম্মুর গো মানাসায় তাদের পরিবারের বসবাস।
সোমবারের (২৩ নভেম্বর) ওই ঘটনায় কাতরা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিষ্ণু মন্দিরে দিনে গড়ে বিশ হাজার পূণ্যার্থীর যাতায়াত, এর মধ্যে এক হাজারই যান হেলিকপ্টারে।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে দিল্লির বাসিন্দা শচিন সোলাঙ্কি ও তার ছয় বছর বয়সী মেয়েও রয়েছে। এক দুর্ঘটনায় স্বামী-মেয়ে হারানো মিসেস সোলাঙ্কি বলেন, আমার মেয়ে খুব মেধাবী ও বুদ্ধিমান ছিল। আমি একসঙ্গে সব হারিয়েছি।
এদিকে, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, পাখির আঘাতে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। উড্ডয়নের পরপর লেজে পাখির আঘাত লাগলে পাইলট দ্রুতই হেলিকপ্টারটি খোলা মাঠে নিয়ে আসতে সক্ষম হন। তবে এটি বিধ্বস্ত হয় ও এতে আগুন ধরে যায়।
শিলা নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আমরা হেলিকপ্টারটি উড়ে যেতে দেখি। মুর্হূতেই এটি মাটিতে নেমে আসে। এ সময় হেলিকপ্টারটির মধ্যে এক নারীর হাত দেখতে পাই।