পাহাড়ে বাড়ছে সম্ভাবনাময় কমলার চাষ
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-১২-২৬ ১০:৩৩:৩৬
বিভিন্ন প্রজাতির ফল উৎপাদনে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির সুনাম বরাবরই।এই জেলার পাহাড়গুলোতে পাল্লা দিয়ে বাড়চে কমলার চাষ। এই জেলায় আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম্বুরা, আনারসের পাশাপাশি এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে কমলা। ভূ-প্রকৃতিগত কারনে কমলা চাষের জন্য এর মাটি দারুন উপযোগী। ইতোমধ্যে জেলার সাজেক ও নানিয়ারচর উপজেলার কমলা খ্যাতি অর্জন করেছে। এ অবস্থায় আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় কৃষকরা ঝুঁকছেন কমলা চাষে।
এ বছর জেলায় সাত হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে কমলা চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা আট হাজার মেট্রিক টন। গত বছর উৎপাদন হয়েছিল সাত হাজার ৬০০ মেট্রিক টন কমলা। কৃষি কর্মকর্তাদের আশা, পাহাড়ে দিন দিন যেভাবে কমলার চাষ বাড়ছে, দেশের চাহিদা মিটিয়েও এই ফল বিদেশেও রফতানি করা যাবে।
কমলা বাগান মালিক কৃষ্ণলাল চাকমা বলেন, ‘এক সময় আমার এই পাহাড়টি পতিত অবস্থায় ছিল। কয়েক বছর আগে কমলা চাষ শুরু করলাম। কমলার ফলন ভালো হচ্ছে দেখে আশপাশের অনেকে এখন কমলা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। এই কমলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়েও রাঙামাটির বাইরে প্রচুর চাহিদা তৈরি করেছে। চাহিদা থাকায় দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।’
মধু লাল চাকমা ও সনজিত চাকমা নামে দু জন কমলা চাষী জানান, ‘আমরা দুজনে চারটি বাগান কিনেছি। ভালোই ফলন হয়েছে এবারও। চারটি বাগান কিনেছি এক লাখ টাকা দিয়ে। ইতোমধ্যে আমরা প্রায় দুই লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছি। আরো ৫০ হাজার টাকার মতো কমলা বিক্রি করতে পারবো এই মৌসুমে।’
শহরের কলেজ গেট এলাকায় কমলা ক্রেতা মো. সাইফুল ইসলাম দাম নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘এক জোড়া কমলা ৫০টাকা একটু বেশি মনে হচ্ছে। এক জোড়া ২০-২৫ টাকা হলে সবাই কিনতে পারতো। ইচ্ছে থাকলের দামের কারণে সবাই কিনতে পারছে না।’
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা বলেন, ‘পার্বত্য এলাকায় জলবায়ুর কারণে সব ফলের চাষাবাদ বরাবরই ভালো হয়। পাহাড়ি এলাকায় কমলা চাষ বৃদ্ধির ফলে বিদেশ থেকে কমলা আমদানি কমে আসবে। সঙ্গে সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হবে। বর্তমানে কৃষকরা বাজারে এই কমলার দামও ভালো পাচ্ছে। এই কারণে কৃষকরা চাষে উৎসাহী হয়ে উঠছে।
সানবিডি/এনজে