খরার কারণে বেড়েছে থাইল্যান্ডের চালের রফতানিমূল্য
সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-১২-৩০ ১১:৪২:৩৩
বিশ্বে চাল উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ড। কিন্তু এ বছর তীব্র খরার কারণে দেশটিতে ধানের আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যে কারনে আগামী বছর দেশটি থেকে চালের সরবরাহ সংকট তৈরি হতে পারে। আর এমন শঙ্কা থেকেই থাইল্যান্ডের চালের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। এছাড়া উৎসবকে কেন্দ্র করে ভারত ও ভিয়েতনামের বাণিজ্য তত্পরতা কমে আসার কারণেও দেশটির চালের রফতানিমূল্য বেড়েছে। খবর রয়টার্স।
থাইল্যান্ড বেঞ্চমার্কে গত বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ ভাঙা চালের টনপ্রতি রফতানিমূল্য উঠেছে ৪২৪ ডলার থেকে ৪৩৫ ডলার পর্যন্ত, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৩৯৫ থেকে ৪২০ ডলার পর্যন্ত।
দেশটির রাজধানী ব্যাংককভিত্তিক একজন চাল ব্যবসায়ী বলেন, চলমান খরার কারণে আগামীতে চালের সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে— এমন আশঙ্কায় মিলার ও রফতানিকারকরা চালের ক্রয় ও মজুদ বাড়িয়েছে। আর এতেই চালের দাম বেড়েছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের চাও ফ্রায়া নদীর অববাহিকার ৯ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর এলাকাজুড়ে ধান আবাদের জন্য পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থা আগামী বছরের এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে।
এদিকে থাইল্যান্ডের চালের রফতানিমূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে দাম বেড়েছে অন্য দেশেরও। ভিয়েতনামের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের প্রতি টনের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৫৫ থেকে ৩৬০ ডলারের মধ্যে, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৩৫০ থেকে ৩৫২ ডলারের মধ্যে। হো চি মিন সিটির একজন চাল ব্যবসায়ী বলেন, বড়দিন ও নতুন বছর উপলক্ষে বাজার সম্পূর্ণ স্থিতিশীল রয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারির আগে বাজারে চালের বাণিজ্য আর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
অপরদিকে বাজারে চাহিদা কম থাকার সত্ত্বেও ভারতীয় চালের মূল্য বেড়েছে। দেশটির ৫ শতাংশ ভাঙা সেদ্ধ চালের টনপ্রতি দাম উঠেছে ৩৬০ থেকে ৩৬৫ ডলার পর্যন্ত। অন্ধ্রপ্রদেশের একজন চাল ব্যবসায়ী বলেন, অধিকাংশ ব্যবসায়ী বড়দিনের ছুটিতে আছেন। যে কারণে চালের চাহিদা কম ।
দীর্ঘদিন দিন পর গত মে মাসে সেদ্ধ চাল রফতানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু চাল রফতানি করতে এখনো কোনো চুক্তিতে পৌঁছতে পারেননি দেশের ব্যবসায়ীরা। কারণ ভারত ও থাইল্যান্ডের তুলনায় বাংলাদেশের চালের রফতানিমূল্য বেশি।
ঢাকার একজন ব্যবসায়ী জানান, বাংলাদেশ এরই মধ্যে কিছু পরিমাণ বাসমতি চাল রফতানির চুক্তি করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু সেদ্ধ চাল রফতানির কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। সেদ্ধ চাল রফতানিতে বাংলাদেশ টনপ্রতি সর্বনিম্ন ৫০০ ডলার অফার করতে সক্ষম। কিন্তু এর চেয়েও কম দামে একই চাল রফতানি করতে প্রস্তুত রয়েছে অন্য দেশগুলো।