কুন্দুজ শহরের অর্ধেক এলাকাই এখন তালেবানের দখলে
প্রকাশ: ২০১৫-০৯-২৮ ২০:৪০:২৭
আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, শত শত তালেবান যোদ্ধার একটি দল উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজ শহরের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন শহরটির অর্ধেক এলাকাই এখন তালেবানের দখলে।
সেখানে তীব্র লড়াই চলছে এবং পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, উভয় পক্ষেই বেশ কিছু লোক নিহত হয়েছে।
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরটির ওপর ভোরবেলা একাধিক দিক থেকে সাঁড়াশি আক্রমণ চালায় তালেবান যোদ্ধারা। তারা শহরে ঢোকার প্রধান পথগুলো দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে, বেশ কিছু ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং কিছু সময়ের জন্য একটি হাসপাতাল দখল করে রাখে।
পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, অন্তত চারটি জায়গায় সরকারি বাহিনীর সাথে জঙ্গীদের তীব্র লড়াই চলছে। আফগান সরকার বলছে, সেখানে বাড়তি সৈন্য পাঠানো হেচ্ছ।
বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, শহরের অর্ধেক এলাকাই এখন তালেবানের দখলে। একটি রিপোর্টে বলা হয়, কৃন্দুজের প্রধান স্কোয়ারে তালেবান একটি পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে।
তালেবানের ওয়েবসাইটে এক সংক্ষিপ্ত পোস্টেও বলা হয়, মুজাহিদীরা কুন্দুজ শহরের কেন্দ্রীয় স্কোয়ারে এসে গেছে, এব শহরের চারটি অংশ এখন পুরোপুরি তাদের দখলে। ‘শত্রপক্ষের অনেকে নিহত হয়েছে’ বলেও এতে দাবি করা হয়।
কুন্দুজ থেকে একজন স্থানীয় এমপি ফাতেমা আজিজ জানান, শহরে এসময় বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, শহরের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তার ওপর নেমে আসতে বাধ্য হয়।
“তীব্র লড়াইয়ের কারণে অনেক লোক বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নেমে এসেছে – যার মধ্যে মহিলা ও শিশুরাও রয়েছে, তারা বুঝতে পারছে না কিভাবে নিরাপদ থাকা যাবে।”
কোন প্রাদেশিক রাজধানী শহরের ওপর এটি অন্যতম বড় জঙ্গী হামলা। বিশেষ করে তালেবান ও অন্যান্য কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী একত্রীভূত হবার পর আফগান সরকারি বাহিনীর সাথে তাদের বেশ কয়টি লড়াই হয়েছে। বিবিসির সংবাদদাতা জোয়ানা জলি জানাচ্ছেন তালেবানের সাথে যোগ দিয়েছে এমন কিছু বিদেশী যোদ্ধা ইসলামিক স্টেটের প্রশিক্ষণ পেয়েছে।
এ ছাড়া কুন্দুজের ওপরও গত এপ্রিল মাস থেকে একাধিক আক্রমণ হয়েছে।
তাজিকিস্তান সীমান্তের কাছে এ শহরটি ২০০১ সালের আগে পর্যন্ত তালেবানের প্রধান ঘাঁটি ছিল। কুন্দুজ এমন কিছু রাস্তার সংযোগস্থলে অবস্থিত – যার সাথে আফগানিস্তানের সব অংশের যোগাযোগ রয়েছে। বিবিসি