শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের এক টুইট বার্তা প্রকাশের পর সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি এক ওয়েবসাইট। নিজেদের ‘ইরান সাইবার সিকিউরিটি গ্রুপ হ্যাকার্স’ বলে পরিচয় দিয়েছেন হ্যাকাররা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিকৃত ছবি দেখা গেছে আমেরিকান ফেডারেল ডিপোসিটোরি লাইব্রেরি প্রোগ্রামের সাইটে। ছবিটিতে দেখা গেছে ‘ইসলামিক রেভুলিউশনারি গার্ডের’ মুষ্ঠি ট্রাম্পের মুখমণ্ডলে আঘাত করছে এবং তার মুখ থেকে রক্ত ঝড়ছে। -- খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর।
আপাতত সন্দেহের তীর ইরানের দিকে থাকলেও ঘটনাটির পেছনে মূল হোতা কারা সে বিষয়ে মুখ খুলছেন না মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা।
সমস্যার সূত্রপাত সম্ভবত ডনাল্ড ট্রাম্পের এক টুইটকে ঘিরে। মার্কিন অবস্থানে তেহরান হামলা করলে মার্কিনীদের পদক্ষেপ কেমন হতে পারে তা উল্লেখ করে ওই টুইট করেন তিনি। শনিবারের ওই টুইটে তিনি লেখেন, “যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৫২টি লক্ষ্যস্থল নির্ধারণ করেছে, এগুলোর মধ্যে কিছু ইরান ও ইরানের সংস্কৃতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও উঁচু স্তরের আর ওই লক্ষ্যস্থলগুলোতে ও ইরানে খুব দ্রুত ও অত্যন্ত কঠিন আঘাত হানা হবে।”
এর পরপরই হ্যাকাররা হামলে পড়ে আমেরিকান ফেডারেল ডিপোসিটোরি লাইব্রেরি প্রোগ্রামের সাইটে। সাইটে নিজেদের লেখায় আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করেছেন হ্যাকাররা। সাইটে মধ্যপ্রাচ্যের ‘শোষিত’ জনসাধারণের উদ্দেশ্যে এক বার্তাও লিখে রেখেছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সাইবার নিরাপত্তা মুখপাত্র সারা সেনডেক বলেছেন, “ফেডারেল ডিপোসিটোরি লাইব্রেরি প্রোগ্রামের সাইটে ইরান সমর্থক বার্তা ও মার্কিন বিরোধী বার্তা দেওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে আমরা জানি।”
“এই মুহূর্তে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না যে হামলাটির পেছনে ইরান আছে কিনা। ওয়েবসাইটটি অফলাইনে নামিয়ে আনা হয়েছে এবং এখন আর প্রবেশ করা যাচ্ছে না। পুরো বিষয়টিতে নজর রাখছে সিসা (CISA) এবং এফডিএলপি ও ফেডারেল অংশীদারদের সঙ্গে মিলে পরিস্থিতি সামাল দিতে কাজ করছেন তারা।”
হ্যাকিংয়ের বিষয়ে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভিস্টিগেশন কোনো মন্তব্য করেনি বলেই জানিয়েছে সিএনএন।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস