চাল আত্মসাতের দ্বিগুণ অর্থ ফেরত দিয়ে মামলা ও পুলিশি গ্রেপ্তার থেকে মুক্তি পেলেন খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। জেলা খাদ্য বিভাগ থেকে এ তথ্য মিলেছে।
২০১৭ সালে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত থাকাকালীন খাদ্য গুদাম থেকে ৪২ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন চাল গায়েব করে বিক্রি করে দেন।
গোডাউন থেকে চাল গায়েবের ঘটনাটি জানাজানি হলে খাদ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তদন্তে আসেন। তদন্তে বিষয়টি ধরা পড়লে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুুল্লাহকে সাময়িক বরখাস্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশি গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি কর্মস্থল থেকে পালিয়ে যান। মামলাটি পরে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করেন।
দুর্নীতি কমিশনের রিপোর্টে সত্যতা মেলে।
যার ফলে তারা আত্মসাত করা ৪২ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন চালের স্থলে দ্বিগুণ অর্থ জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। দুদকের চিঠি পেয়ে আত্মসাত করা চালের দামের দ্বিগুণ ৩০ লাখ ৯২ হাজার ২৮ টাকা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতে জমা দিয়ে পুলিশি ও দুদকের মামলা থেকে নিস্কৃতি পান ।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্বপন কুমার দে জানান, সরকারি কোষাগারে দ্বিগুণ টাকা জমা দিয়ে তিনি শুধু পুলিশি ও দুদকের মামলা থেকে নিস্কৃতি পেয়েছেন কিন্তু বিভাগীয় মামলা ও সাময়িক বরখাস্তের আদেশ থেকে মুক্তি পাননি।
সানবিডি/ঢাকা/এনজে