এক শতাংশ হারে বিশেষ নগদ সহায়তার আওতা বাড়াল সরকার। তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বস্ত্রজাত সামগ্রী তথা টেরিটাওয়েল ও বিশেষায়িত টেক্সটাইল রপ্তানির বিপরীতে এ নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিকল্প নগদ সহায়তা পাচ্ছেন এমন রপ্তানিকারকও এ সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া বিশেষ নগদ সহায়তা পেতে নূ্যনতম ৩০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের যে শর্ত ছিল তা তুলে দেওয়া হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের ফলে তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের সব রপ্তানিকারক নতুন সুবিধার আওতায় আসবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। এর আগে গত ১০ অক্টোবর শুধু তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ১ শতাংশ হারে বিশেষ নগদ সহায়তার বিষয়ে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগের সিদ্ধান্তের সংশোধনী এনে এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়।
আগের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ২০১৯ সালের ৩৫ নম্বর সার্কুলারের প্রথম অনুচ্ছেদের ১ থেকে ৪ নম্বর ক্রমিকে সুবিধা পাওয়া প্রতিষ্ঠান এ সুবিধা পাবে না। নতুন সার্কুলারে সেই শর্ত তুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্রখাতে শুল্ক্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে যেসব রপ্তানিকারক ৪ শতাংশ হারে বিকল্প নগদ সহায়তা পাচ্ছেন তারাও বিশেষ সুবিধা পাবেন।
এ ছাড়া রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের অন্তর্ভুক্ত নিট, ওভেন ও সোয়েটার খাতের যেসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারখানা অতিরিক্ত ৪ শতাংশ সুবিধা পাচ্ছে; আমেরিকা, কানাডা, ইইউর বাইরে রপ্তানিতে নতুন পণ্য নতুন বাজার সম্প্রসারণে যারা ৪ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাচ্ছে এবং ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতে রপ্তানিতে ৪ শতাংশ হারে অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা পাচ্ছে- তারা এক শতাংশ হারে বিশেষ নগদ সহায়তা পাবেন।