বিগত ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় (ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর) প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট কোর্টের বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর রায়টি প্রকাশিত হয়।
প্রকাশ হওয়ার আগে রায়ে স্বাক্ষর করেন বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিশেষ হাইকোর্ট বেঞ্চ। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার।
২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর টানা দুই দিনে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। সেই রায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ১৫২ আসামির মধ্যে ১৩৯ জনের ফাঁসির রায় বহাল থাকে। একইসঙ্গে আট জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চার জনকে খালাস দেওয়া হয়। অন্যদিকে, এ মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন পিন্টু হাইকোর্টের বিচার চলাকালে মারা যান।
এদিকে বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া ১৬০ জন আসামির মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এদের মধ্যে দুই জন আসামির মৃত্যু এবং ১২ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
এছাড়া, জজ আদালতে খালাস পাওয়া ৬৯ আসামির মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ মামলায় চার জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৪ জনকে খালাসে বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখেছিলেন হাইকোর্ট।
রাজধানীর পিলখানায় ২০০৯ সালে তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান মোট ৭৪ জন।
পরে ওই ঘটনায় মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আখতারুজ্জামান বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে রায় ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় ১৫২ আসামির ফাঁসির রায় দেন বিচারক।
সানবিডি/ঢাকা/এনজে