সরিষার বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের
সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০১-০৮ ১৪:২৭:১৯
নওগাঁ জেলার রাণীনগরে বিভিন্ন ফসলি জমির যে দিকেই তাকানো যায় সেদিকেই যেন সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহ। যেন হলুদ রঙের কার্পেট বিছানো।এসব সরিষা ফুল থেকে মধু আহরণ করছে হাজার হাজার মৌমাছি। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। রাণীনগরের কৃষকরাও এই আশায় আছেন।
কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে,আসন্ন প্রধান ফসল বোরো ধান চাষের আগে রবি শস্য হিসেবে সরিষার চাষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সরিষার চাষের পরই বোরো ধান রোপণের জন্য জমি প্রস্তুত করা হয়। এছাড়াও সরিষা চাষের পর ওই জমির উর্বরতা শক্তি, উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং জমির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। তাই পরবর্তী ফসল উৎপাদনে সহায়ক হিসেবে কাজ করে সরিষা চাষ। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার ৮শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে বারি সরিষা-১৪, ১৫ এবং এই প্রথম নতুন উদ্ভাবিত উন্নত ফলনশীল জাত বারি সরিষা-১৭ চাষ করা হয়েছে। ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে সদর, মিরাট, গোনা, কালিগ্রাম ও পারইল ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। এ উপজেলার অধিকাংশ চাষিকে সম্পূরক রবি ফসল হিসেবে সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে এর বীজ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম জানান, ‘চলতি মৌসুমে বিঘা প্রতি সরিষার ফলন ৬ থেকে সাড়ে ৬ মণ আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও সরিষার বাজার দরও অনেক ভালো। সরিষা চাষ পরবর্তী বোরো ধান চাষের জন্য অনেক উপকারী। সরিষা চাষের পর সরিষার গাছ জ্বালানী হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। তাই সব মিলিয়ে একজন সরিষা চাষী বিঘা প্রতি ১০-১১ হাজার টাকা লাভ করতে পারবেন। বর্তমান আবহাওয়াও সরিষার তেমন কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ শতকরা ৭০ ভাগ সরিষা গাছে দানা এসে গেছে। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন আশা করছি।
সানবিডি/ঢাকা/এনজে