সম্প্রতি ভারতে বিতর্কিত নাগরিক আইন পাশ করা হয়।ভারতীয় জনতা পার্টির মিত্র হিসেবে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) পুনর্বিবেচনার জন্য বিশেষ আলোচনার কথা বলেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমার। একই সঙ্গে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, বিহারে তা বাস্তবায়নের কোনও প্রয়োজন নেই। সোমবার বিহারের অ্যাসেম্বলিতে কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সমালোচনার মুখে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এখবর জানিয়েছে।
পার্লামেন্টে আইনটি পাশ করার সময় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে সমর্থন জানায় নিতিশ কুমারের জনতা দল। কিন্তু সোমবার আইনটি সম্পর্কে দলের অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন তিনি। আইনটিতে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে দেশটিতে গিয়ে বসবাসরত অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আগে আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) থেকে বাদ পড়েন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন। বাদ পড়াদের অধিকাংশই মুসলিম।
ধর্মের ভিত্তি নাগরিকত্ব আইনের সমালোচনা করে বিহারের অ্যাসেম্বলিতে বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানায় কংগ্রেস ও লালু যাদবের আরজেডি। তাদের সমালোচনার প্রেক্ষিতে নিতিশ কুমার বলেন, সিএএ নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। সবাই যদি চায় তাহলে এখানেই একটি আলোচনা হতে পারে। আর এনআরসি কোনও প্রশ্নই উঠে না এবং এর কোনও যুক্তি নেই।
নিতিশ কুমারের বক্তব্যে সিএএ-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভের প্রধান কারণগুলো স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। ভারতজুড়ে যে দাবি করে আসছেন শিক্ষার্থী, অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক নেতারা। আর প্রথমবারের মতো তিনি রাজ্যে এনআরসি বাস্তবায়ন না করার কথাও বললেন।
এর আগে রবিবার জনতা দলের দ্বিতীয় প্রধান নেতা, কৌশলবিদ থেকে রাজনীতিতে আসা প্রশান্ত কিশোর এক টুইটে বলেছিলেন, সবাইকে নিশ্চয়তা দিতে চাই যে, বিহারে কোনও সিএএ-এনআরসি বাস্তবায়িত হবে না।
উল্লেখ্য,১২ ডিসেম্বর ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আইনটিকে মুসলিমবিরোধী ও বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে রাজ্যে রাজ্যে বিক্ষোভ চলছে। এসব বিক্ষোভকেন্দ্রিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলিবর্ষণের কথা স্বীকার করেছে পুলিশ।
সানবিডি/এনজে