কৃষকের সোনালী আঁশ পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানির বিপরীতে ১ শতাংশ হারে বিশেষ নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় (জুলাই- ডিসেম্বর) মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে ২৫০ কোটি টাকা প্রণোদনা পেয়েছেন রফতানিকারকরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ অর্থের তৃতীয় কিস্তি ১৭০ কোটি টাকা ছাড় কারার প্রস্তাব সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায় ।
এ প্রস্তাবে বলা হয়, এ খাতে বরাদ্দের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির মোট ২৫০ কোটি টাকা ইতোমধ্যে তফসিলি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রফতানিকারকদের দেয়া হয়েছে। বর্তমানে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানির বিপরীতে ব্যাংকগুলো থেকে নগদ সহায়তার অপরিশোধিত দাবির পরিমাণ রয়েছে প্রায় ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
সুতরাং আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত এ খাতে নগদ সহায়তা বাবদ প্রয়োজন হবে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা। এ জন্য তৃতীয় কিস্তিতে ১৭০ কোটি টাকা ছাড় করার বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে ওই প্রস্তাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তাবনায় মোট কত টাকার পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি হয়েছে তা উল্লেখ না থাকলেও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি আয় বেড়েছে। নভেম্বর শেষে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি হয় ৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধিও গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে।
সানবিডি/এনজে