প্রিয় বন্ধুর বিয়ে কিন্তু সেখানে যেতে পারছে না সকল সহপাঠীরা, তাই ক্যাম্পাসেই ঘটা করে আয়োজন হল গায়ে হলুদের।
বৃহস্পতিবার বিকালে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তাই অন্য দিনের চাইতে আলাদা রঙ লাগে।
অন্যান্য দিনের মতো আড্ডা হয়নি; বরং সবার চোখ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী জুয়েল এবং চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশার গায়ে হলুদের মঞ্চে।
হঠাৎ করেই ক্যাম্পাসের লেক পাড়ে সবাইকে অবাক করে শুরু হলো গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। নেই কোনো বাইরের অতিথির আনাগোনা।
শিক্ষার্থীরা একে একে নিয়ে এলো বাঁশের ডালা, কুলা, চালুন ও মাটির সরা, ঘড়া, মটকা। মুহূর্তে তৈরি হয়ে গেল গায়ে হলুদের মঞ্চ। একটু পরেই বর-কনে উপস্থিত। তারা গায়ে হলুদ সারলেন তাদেরই প্রিয় ক্যাম্পাসে; প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে।
সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকপাড়ে হলদে শাড়ি আর পাঞ্জাবি পরা একদল তরুণ-তরুণীর আনাগোনায় মুখর হয়ে ওঠে। ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদের আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারই প্রথম।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, গায়ে হলুদের এ আয়োজন বর ও কনের পরিবারের লোকজন করেনি। বিয়ের অনুষ্ঠানে সব বন্ধুরা উপস্থিত থাকতে পারবে না বলেই ক্যাম্পাসে সবার উদ্যোগে এমন ভিন্নধর্মী গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়েছে।
চিরাচরিত গায়ে হলুদের নিয়মের মতই হলুদ, মেহেদী মাখিয়ে করা হয়েছে আনুষ্ঠানিকতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন অনুষ্ঠানে।
আশার বন্ধু রাফি বলেন, “বিয়েতে সবার পক্ষে আশার বাড়িতে যাওয়া সম্ভব না তাই বান্ধবীর বিয়েতে মজা করার জন্য ক্যাম্পাসে হলুদের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা সব বন্ধু-বান্ধবীরা মিলে এ আয়োজন করেছি। এ আয়োজনে আমাদের বিভাগের সব জ্যেষ্ঠ ও কনিষ্ঠরা সহযোগিতা করেছে ”
কনে আশার কাছে ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদ আয়োজনের অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হবে কখনও ভাবিনি। আমি অনেক খুশি।
সানবিডি/এনজে