পাকিস্তানে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে আটার দাম। প্রতি কেজি আটা ৬২ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। গেল ডিসেম্বরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে পণ্যটি। তাই রুটি খাওয়া নিয়ে চিন্তায় পড়েছে পাকিস্তানের নাগরিকরা।
পন্যটির দাম বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতিতে চিন্তায় পড়েছে ইমরান খান সরকার। দেশটির প্রধান খাদ্য পণ্যটির এমন লাগাম টেনে না ধরতে পারায় সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে জনগণ।
তাই যে কোনভাবে গমের দাম কমাতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে পাক সরকার।
তবুও পণ্যটির দাম কমাতে ব্যর্থ হচ্ছে তারা।
দেশটির গণমাধ্যম জিওনিউজ জানিয়েছে, এক সপ্তাহেই দেশটিতে আটার দাম কেজি প্রতি বেড়েছে পাঁচ রুপি। করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ প্রায় সবখানেই ৬২ রুপির নিচে মিলছে না আটা। কোথাও কোথাও প্রতি কেজি আটার মূল্য ৭০ টাকা ছাড়িয়ে।
আটার এমন আকাশছোঁয়া দামে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস অবস্থা।
পাক গণমাধ্যমটি আরো জানায়, এক মাস আগেও করাচিতে ১ কেজি আটা কিনতে লাগত ৪৫ টাকা। এখন সেখানে ১ কেজি আটা কিনতে ৬২ থেকে ৭০ টাকা গুণতে হচ্ছে।
এমন দাম বৃদ্ধিতে বিক্রেতারা বক্তব্য, গমের দাম হঠাৎই বেড়ে যাওয়ায় আটার দামও বেড়েছে। দাম কবে কমবে সে ব্যাপারে কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই তাদের।
কিন্তু ব্যবসায়ীদের এমন বক্তব্য মিথ্যা বলে জানিয়েছে ইমরান খান সরকার।
পাক সরকারের খাদ্য বিভাগ বলছে, গমের দাম ১ রুপিও বাড়েনি। সরকারি গুদামে চার মিলিয়ন টন গম মজুত রয়েছে। অসুাদু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে গমের দাম বাড়ার ভুয়া খবর ছড়িয়েছে।
দাম একমাসে ৪৫ থেকে ৭০ এ ওঠার কোনো যুক্তি নেই বলে জানিয়েছে দেশটির খাদ্য অধিদফতর।
এ নিয়ে গত শনিবার বিভিন্ন প্রাদেশিক সরকারকে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতে লাগাম টানার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কারা এ মূল্যবৃদ্ধির কারসাজিতে জড়িত তা চিহ্নিত করতে নির্দেশনা দেন।
কিন্তু ইমরান খানের এমন নির্দেশনার মাঝেই দেশটির রেস্তোরাঁ ও ধাবা মালিকরা সোমবার থেকে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
পুরনো মূল্যে আটা সরবরাহ না করা হলে রুটি ও নানের দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে দিতে বাধ্য হবেন বলে হুমকি দিয়েছেন তারা।
সানবিডি/এনজে