২০১৯ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এবার ১০ কবি ও লেখক এ পুরস্কার পেলেন। পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান, মহান মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) আসনের ৪ বারের সাংসদ, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী সংবাদ সম্মেলনে পুরস্কারপ্রাপ্ত ১০ কবি-লেখকের নাম ঘোষণা করেন।
২০১৯ সালে কবিতায় মাকিদ হায়দার, কথা সাহিত্যে ওয়াসি আহমেদ, প্রবন্ধ ও গবেষণায় স্বরোচিষ সরকার, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, অনুবাদে খায়রুল আলম সবুজ, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণে ফারুক মঈনউদ্দীন, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞানে নাদিরা মজুমদার, নাটকে রতন সিদ্দিকী, শিশুসাহিত্যে রহীম শাহ এবং ফোকলোরে সাইমন জাকারিয়াকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন।
১৯৬০ সালে প্রবর্তিত বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১০টি বিষয়ে দেওয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি ও লেখকদের হাতে তিন লাখ টাকা, সনদপত্র ও স্মারক তুলে দেওয়া হবে।
রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম একজন লেখক। মুক্তিযুদ্ধের উপর তিনি বেশ ক’টি বই লিখেছেন। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য বই হচ্ছে-‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’, এ টেল অব মিলিয়ন ও ‘মুক্তির সোপানতলে’ ইত্যাদি।
রফিকুল ইসলাম ১৯৪৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বরে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার নাওড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। তার বাবার নাম আশরাফ উল্লাহ এবং মায়ের নাম রহিমা বেগম। তিন ভাই ছয় বোনের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবার বড়।
বাবার চাকুরীসূত্রে শৈশবকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেয়ে থাকতে হয়েছে যার ফলে পড়াশুনা করতে হয় ভিন্ন ভিন্ন কয়েকটা স্কুলে। নিজ গ্রাম নাওড়াতেই প্রাথমিক স্কুলে হাতেখড়ি। পরে লেখাপড়া করেন পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুরের পালং, কুমিল্লার চান্দিনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
১৯৫৯ সালে অন্নদা মডেল হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৮১ সালে তিনি আমেরিকার হার্ভাড বিজনেস স্কুলে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম কোর্স সম্পন্ন করেন।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস