এখন থেকে অনলাইনের মাধ্যমেই দেওয়া যাবে বিদেশ যাওয়ার ভ্রমণ কর। সোনালী ব্যাংকের অনলাইন সেবার মাধ্যমে এই কর দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনলাইনে ভ্রমণ কর আদায় পদ্ধতি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
মুনিম বলেন, ভ্রমণ কর আদায় সহজ করতে স্থল ও জলপথে বিদেশগামী যাত্রীদের কাছ থেকে সোনালী ব্যাংকের অনলাইন সেবা পাওয়া যাবে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে সোনালী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভ্রমণ কর আদায় করছে। কিন্তু এখন থেকে অনলাইনে সোনালী ব্যাংক ভ্রমণ কর আদায় করবে।
অন্যদিকে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আদায় করা ভ্রমণ করের পরিমাণ ১১০৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এর মধ্যে আকাশ পথে ভ্রমণ কর আদায় হয়েছে ৯৮৪ কোটি টাকা আর স্থলপথে আদায় হয়েছে ১২০ কোটি টাকা। একই সাথে সড়ক পথেও ভ্রমণকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। তাই কর সেবার মান বাড়ানো, সহজ এবং রাজস্ব বাড়াতে এনবিআর কাজ করে যাচ্ছে। একইসঙ্গে পর্যায়ক্রমে সব ধরণের কর সেবা অনলাইনে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাস্তবায়নকৃত অটোমেশনের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের গেটওয়ের সকল সুযোগ, সুবিধা অর্থাৎ ভিসা, মাস্টার, আমেরিকান এক্সপ্রেস, নেক্সাস ইত্যাদিসহ দেশের বিভিন্ন মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার করে ভ্রমণ কর জমা দেওয়া যাবে। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে বুথে বা আগে থেকেই সোনালী বা জনতা ব্যাংকের কোনো শাখায় একটি রশিদের মাধ্যমে ভ্রমণ কর জমা দিতে হতো। বিষয়টি সহজ করতে ভ্রমণ কর এখন থেকে সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে অনলাইনে জমা দেওয়া যাবে। একই সাথে যাত্রীরা হয়রানিমুক্তভাবে ভ্রমণ কর অনলাইনে জমা দিতে পারবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ডিজিটাল এনবিআর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ভ্রমণ কর আদায় ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওতায় আনা হলো। সকল কর সেবাকে জনগণের দৌড়গড়ায় নিয়ে যাওয়ায় মুজিব শতবর্ষে এনবিআরের অঙ্গীকার। এই অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে বছরের শুরুতেই ভ্রমণ কর আদায় ব্যবস্থা অনলাইন সেবায় রূপান্তরিত করা হলো।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আতাউর রহমান প্রধান ও এনবিআর সদস্য কানন কুমার রায়।
সানবিডি/এনজে