ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাবখান গ্রামের চাষিরা সবজি চাষে স্বাবলম্বি হয়েছেন।চলতি মৌসুমে বিভিন্ন জাতের সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে তাদের। সবজি চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার কথা জানালেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের গাবখান গ্রামের আব্দুল হক তালুকদার।
কৃষক আব্দুল হক তালুকদার বলেন, দরিদ্র বাবার সংসারের ঘানি টানতে গিয়ে পড়ালেখা করতে পারিনি। তাই সবজি চাষে মনযোগী হয়। প্রথমে অন্যের জমিতে কাজ করতাম। পরে দুই বিঘা জমি নিয়ে সবজির চাষ শুরু করি।
বাজারে সবজির চাহিদা ভালো থাকায় প্রথমে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ম্যাজিক শিম, শসা, পেঁপে, কুমড়া, মুলা, লাল শাক, টমেটো ও লাউসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করি। এসব সবজি বাজারে বিক্রি করে লাভ হয়। ২০ হাজার টাকা খরচ করে এক মৌসুমে প্রায় লাখ টাকার সবজি বিক্রি করি। এখন সারা বছর আমার জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ হয়। সবজি চাষ করে বর্তমানে সংসার চলে। জমি কিনেছি। এখন আমার জমিতে শাকসবজি চাষ করি।
আব্দুল হক তালুকদার আরও বলেন, ২৫ বছর ধরে সবজি চাষ করলেও সদর উপজেলা কৃষি অধিদফতর থেকে একবারও বিনামূল্যে আমাকে সার-কীটনাশক দেয়া হয়নি। সরকারি অনুদানসহ কৃষি খামার বাড়ির সার্বিক সহযোগিতা চাই আমি।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল হক একজন আদর্শ সবজি চাষি। তাকে দেখে এলাকায় অনেকেই সবজি চাষ করছেন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা তার কাছ থেকে সবজি কিনে বাজারে বিক্রি করেন। এই মৌসুমে লাখ টাকার সবজি বিক্রি করেছেন তিনি।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রিফাত সিকদার বলেন, কোথায় কোন চাষি কি চাষ করে সফল হয়েছেন তা আমাদের জানা নেই। চাষাবাদ করতে গিয়ে যদি কোনো চাষির কোনো ধরনের সমস্যা হয় তাহলে আমাদের জানালে ব্যবস্থা নিই। কৃষি অফিস থেকে ওষুধ-কীটনাশক দেয়া হয় না। তবে খোঁজ নিয়ে ওই চাষিকে সহায়তা করা হবে। সূত্র-জাগো নিউজ
সানবিডি/এনজে