আসন্ন ঢাকা সিটি নির্বাচনে হামলা চালিয়ে মাঠছাড়া করা যাবে না জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে বিএনপি'র মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য আমি জীবন দিতে প্রস্তুত। রক্ত ঝরাতে প্রস্তুত। আমরা জনগণের অধিকারের লড়াইয়ে আছি। এই গুলির শব্দে আমি ভয় পাই না। কোন হামলার ভয় পাই না, আমি মাঠে আছি, থাকবো। মরতে হলে আমি মরব। আবারও বলছি সন্ত্রাসীরা মারতে এলে আমি মাঠ ছেড়ে দেব না।
রোববার দুপুরে নিজ বাসার নির্বাচনী কার্যালয়ে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রচারণা কালে হামলার ঘটনায় নেতাকর্মীদের বিচলিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ইশরাক বলেন, এ ধরনের হামলার ঘটনা ন্যক্কারজনক। ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এ ধরনের একটা ঘটনা ঘটিয়েছে সরকার। আমি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা শান্ত থাকবেন। বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নেই। এটি নির্বাচনকে বানচাল করার, ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের একটা অপচেষ্টা। এতে কেউ বিভ্রান্ত হবে না । আমরা অবশ্যই ভোটারদের আহ্বান জানাব, আপনারা পহেলা ফেব্রুয়ারি নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাবেন, এসব ঘটনায় আপনারা বিন্দুমাত্র বিচলিত হবেন না।
এসময় ইশরাক হোসেন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণসংযোগ করে বাসায় আসছিলাম। ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের লাভলী চৌধুরীর ক্যাম্প থেকে আমরা আসছিলাম। আকস্মিকভাবে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। তিন জন সাংবাদিক ও ৮-১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নয়া দিগন্তের সাংবাদিক ইকবাল মজুমদার, সময় টিভির ক্যামেরাম্যান আশরাফুল ইসলাম ও বাংলাভিশনের সিনিয়র ক্যামেরাপার্সন উজ্জ্বল দাস আহত হয়েছেন। আমার উপরে হামলার আশঙ্কা ছিল, আমার নেতাকর্মীরা আমাকে সুরক্ষা দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনার এর ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ওখান থেকে যখন চলে আসি তখন কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। আমি নিজে গুলির শব্দ শুনতে পাই। আমি একজন মেয়রপ্রার্থী, আমি গণসংযোগ করে বাসায় আসছি তখন এই ধরনের একটা হামলা হলো।
যখন যে হামলা হয়েছে তা নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা কোনো পদক্ষেপই নেননি। আমি কোন ধরনের নিরাপত্তা পাচ্ছিনা।
পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে বিএনপি'র মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে তারা এসেছেন। কামরাঙ্গীরচরে আজকের মত এরকম একটা ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিলো। সেখানে পুলিশ যথেষ্ট পরিমাণ সুরক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু ওয়ারী থানায় ন্যাক্কারজনকভাবে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। কাউন্সিলর প্রার্থীর ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আরেক জনের মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। এই থানার কর্মকর্তা একেবারেই দায়সারা। তিনি কোনকিছুর পরোয়া করেন না। আজকের হামলার ঘটনায় মামলা করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই আমি মামলা করব। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমাদের এতো মানুষ আহত হয়েছে, গণমাধ্যমের ভাইয়েরা আহত হয়েছে। মামলাতো করবোই।
সানবিডি/এনজে