সম্প্রতি ভারতে তীব্র বিরোধীতা সত্ত্বেও বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস করা হয়। এই আইনের বিরোধিতা করায় এক যুবককে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সামনেই মারধর করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন স্বয়ং অমিত শাহকে মাইকে চিৎকার দিয়ে বলতে হয়েছে, আরে ভাই থামুন! নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা দ্রুত ওকে সরিয়ে নিয়ে আসুন!-খবর আনন্দবাজারপত্রিকা অনলাইনের
নয়াদিল্লিতে ভোট সামনেই। রাজপথে কুচকাওয়াজের পরই একটি রোডশো করেন অমিত শাহ। পরে রাতে দিল্লির বাবরপুরে জনসভা করছিলেন তিনি। সেখানে উচ্চস্বরে বলছিলেন, ভোটের দিন যখন (ইভিএমের) বোতাম টিপবেন, সব রাগ ঢেলে দিয়ে টিপবেন। বাবরপুরের রাগের কারেন্ট যেন শাহিনবাগে গিয়ে লাগে!
তিনি যখন এমন কথা বলছিলেন, তখন ভিড়ের ভেতর থেকে এক যুবক স্লোগান দিয়ে ওঠেন, এনআরসি ফেরত নিন!
অমিত শাহ তার এই স্লোগান ঠিকমতো শুনতে না পেলেও হিন্দুত্ববাদী বিজেপির কর্মীরা ওই যুবকের বিরুদ্ধে ক্ষেপে যান। লোহার চেয়ার দিয়ে তাকে রীতিমতো মারধর শুরু করেন। মঞ্চ থেকে তা দেখতে পেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর সঙ্গে সঙ্গে তিনিই মাইকে বললেন, আরে ভাই থামুন। নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন দ্রুত পৌঁছান। নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যান ওই ব্যক্তিকে।
কিন্তু কে শোনে কার কথা। কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা আর মারধর থামাননি। ভিড় ঠেলে পুলিশ পৌঁছাতেও সময় লেগেছে অনেক। কিছুক্ষণ আগে যে অমিত শাহ সবাইকে ক্রুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছিলেন, তিনিই বক্তৃতা বন্ধ রেখে বারবার মারধর থামানোর নির্দেশ দিতে থাকলেন।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে নয়াদিল্লির লাজপতনগর এলাকায় ভোটের প্রচারে অমিতের মিছিলের নাকের ডগায় বাড়ির বারান্দা থেকে জাতীয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনবিরোধী ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন দুই নারী। চেঁচিয়ে বলেছিলেন, আমরা এ আইন চাই না।
সানবিডি/এনজে