দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন অধ্যাপক তার এক ছাত্রকে প্রায়ই প্রহার করতেন। শুধু তাই নয়, শাস্তি হিসেবে তাকে মানুষের মলমূত্র পান করতে বাধ্য করা হতো। বৃহস্পতিবার ওই শিক্ষককে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।
দক্ষিণ কোরিয়ার সুউন জেলা আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই শিক্ষককে সহযোগিতার অভিযোগে আরো তিনজনকে ছয় বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুই বছর ধরে তারা এই অপকর্ম করছিলেন।
আদালতে আইনজীবীরা ওই অধ্যাপকের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। তবে আদালত জানিয়েছেন, ৫২ বছরের এই অধ্যাপক যা করেছেন, তা কল্পনাকেও হার মানায়। তাকে শাস্তি আরো বাড়িয়ে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই অধ্যাপক ২০১৩ সালে একটি অলাভজনক সংস্থা চালু করেন। সেখানে তিনি তার এক প্রাক্তন ছাত্রকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। এ ছাড়া অধ্যাপকের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত তিন প্রাক্তন ছাত্রও ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রাক্তন ছাত্রটি কোনো ভুল করলে অধ্যাপক ও তার তিন সহযোগী বেসবল ব্যাট দিয়ে তাকে প্রহার করতেন। মাঝে মাঝে প্লাস্টিকের ব্যাগের ভেতরে পেপার স্প্রে করে সেটি দিয়ে তার মুখ ও মাথা ঢেকে দেওয়া হতো। এমনকি একটি বোতলে মানুষের মলমূত্র রেখে তা ওই প্রাক্তন ছাত্রকে পান করতে বাধ্য করা হয়। পুলিশ আরো জানায়, ওই ছাত্রটি কেবল এ কারণেই নির্যাতন সহ্য করছিল যে, হয়তো তার প্রাক্তন অধ্যাপক তাকে একটি চাকরি পাইয়ে দিতে সহায়তা করবেন।