বাংলাদেশ ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য প্যানেল আইনজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা অনুসরণের নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
২৬ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মো. জেহাদ উদ্দিন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ বা পুনঃনিয়োগ সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদনের লক্ষ্যে এ বিভাগের আওতাধীন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও দফতরের জন্য কমিটি গঠন করতে হবে। উক্ত কমিটিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রতিনিধি এবং অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের একজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
প্যানেল আইনজীবীর মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ দুই বছর। যে সব আইনজীবীর পারফরম্যান্স সন্তোষজনক বিবেচিত হবে তাদের পুনরায় নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা যাবে।
নিয়োগকৃত আইনজীবীদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা কর্তৃক কী পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর (কিপিআই) নির্ধারণ করতে হবে এবং উক্ত কেপিআই অনুযায়ী নিয়মিতভাবে আইনজীবীদের মামলা পরিচালনার পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করতে হবে। যে সব আইনজীবীর পারফরম্যান্স সন্তোষজনক বিবেচিত হবে না তাদের বিষয় কমিটিতে উপস্থাপনপূর্বক প্যানেল হতে বাদ দিয়ে নতুন আইনজীবী নিয়োগ দিতে হবে।
আইনজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ও তাদের পেশাগত দক্ষতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটে এমন কোন কাজ প্যানেল আইনজীবী করতে পারবেন না। এ ধরনের অভিযোগ উত্থাপিত হলে কমিটির সুপারিশক্রমে তার নিয়োগ বাতিল করতে হবে।
নিয়োগপ্রাপ্ত প্যানেল আইনজীবীদের নামের তালিকা ও ফোন নাম্বার আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে অবহিত করতে হবে। সেই সঙ্গে ইতোপূর্বে যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের তালিকাও এ বিভাগকে অবহিত করতে হবে।