জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর দিনক্ষণ গণনা শুরু করেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
সোমবার দুপুরে মতিঝিলে ডিএসই ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ক্ষণ গণনার উদ্বোধন করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম।
এসময় অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান, পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, পরিচালক বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান, পরিচালক শাকিল রিজভী, পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান, ডিবিএ ও মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দসহ সংস্থাটির কর্মকর্তারা।
ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাসেম বলেন, গত ১০ জানুয়ারি থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উৎযাপনের ক্ষণ গণনা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সকলে আমরা যারা স্টক এক্সেচেঞ্জের পরিবারের সদস্য এবং যারা আমরা শেয়ারবাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট আমরাও মনে করেছি আমাদের এধরনের একটা উদ্যোগ নেয়া দরকার। এরই অংশ হিসেবে আমাদের সীমিত অথচ গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট আপনারা যারা আছেন তাদের সকলের প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুর যে কাঙ্খিত সোনারবাংলা, সে প্রকৃত সোনারবাংলায় এবং ওনার স্বপ্ন, সে স্বপ্নে আমরা পৌঁছাতে পারবো।
ক্ষণ গণনা উৎযাপনে স্বাগত বক্তব্যে ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, এই অনুষ্ঠানের প্রস্তাবক হানিফ ভূঁইয়া বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুকে স্বরণ করে সব জায়গায় সব কিছু হচ্ছে, সুন্দরভাবে, আমরাও যেন মুজিব বর্ষ পালন করি। আমাদের পরিচালকবৃন্দ যারা আছেন সবাই একবাক্যে তা গ্রহণ করেছেন।
অনুষ্ঠানে সংসদ্য সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, এখানে ৪২ বছর ধরে আছি। অনেক অনুষ্ঠান হয়েছে কিন্তু কোনো দিন কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে সংবধর্ণা দেওয়া হয়নি। অনেক ঘাটতি আছে।
তিনি বলেন, এখনো আমরা আছি বলে আপনারা আছেন। দেশটা স্বাধীন না করলে কার বাপের কত সম্পদ ছিল, কে কোথায় বাড়ি করছে, গাড়ি করছেন সব আমাদের জানা হয়ে যেতো।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা করছি। এ আলোচনা প্রতি বছর হতে পারে। তার মৃত্যুবার্ষিকী এবং জন্ম বার্ষিকীতে হতে পারে। উনি জাতির জনক, উনিতো নির্দিষ্ট কোনো দলের সম্পদ নয়।
সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বলেন, রাজাকাররা এখন খোলস বদলে নতুন করে মাঠে নেমেছেন। তাই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে একত্রে কাজ করতে হবে। কারণ, সর্তক না হলে সামনে বিপদ আরও বাড়বে।
ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর কারণেই ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে সফলতা এসেছে। তাই দলমত নির্বিশেষে তাকে সর্বোচ্চ সন্মান দিতে হবে। তবেই আমাদের মুক্তি। তাকে সন্মান দেওয়া আমাদের কর্তব্য।
ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগেও ডিএসই বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীতে অর্থাৎ ১৫ আগস্ট ওনার আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়া ও মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি এটা একটা সঠিক পদক্ষেপ। এটা কন্টিনিউ করতে হবে। আমরা যে মতে থাকি, যেভাবেই থাকি, এ বিষয়ে আমরা সকলে এক থাকব। এটা আমাদের একটা প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিৎ।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আরও স্মৃতিচারন করেন ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক মনোয়ারা হাকিম আলী, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, মোস্তাক আহমেদ সাদেক ও সাবেক পরিচালক খুজিস্তা নুর এ নাহরীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে নিমির্ত ভিডিও চিত্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।