চাকরির আবেদন ফি কমানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন চাকরি প্রার্থীরা। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি স্মৃতি, রাজু ভাস্কর্যের সামনে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ কর্মসূচির আহবায়ক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী আবু বকর ইয়ামিন। তিনি বলেন, ‘একজন বেকারের পক্ষে মেসে বা হলে থেকে মানবেতর জীবনযাপন করার পর কীভাবে প্রতি মাসে দুই-তিন হাজার টাকা চাকরির আবেদন বাবদ আবেদন ব্যয় করবে? এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অনেকে মেধাবী ও দক্ষ হওয়া সত্ত্বেও অর্থের অভাবে ভাল ভাল জায়গায় আবেদন করতে পারছেন না। যেখানে বিত্তশালীরা আবেদন করছে খুব সহজেই। এটা বৈষম্য তৈরি করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি যে, সরকার চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট ফি রাখার ব্যবস্থার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। একইভাবে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশা রাখি।’
এটা সাধারণ চাকুরি প্রার্থীদের আবেদন। সরকারবিরোধী আন্দোলন নয়। কোটা আন্দোলনকারী বা সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ নামে কোনো সংগঠনের সাথেও আমাদের সংশ্লিষ্টতা নেই। কেউ যাতে এ আন্দোলনকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানান ইয়ামিন।
তিনি বলেন, ‘এখন সংসদ অধিবেশন চলছে। আমরা মনে করি এ সময়ে প্রধানমন্ত্রী বেকারদের কথা চিন্তা করে একটা সিদ্ধান্ত নিবেন।’
পরবর্তী কোনো কর্মসূচি আছে কি-না জানতে চাইলে আবু বকর ইয়ামিন বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী কোনো কর্মসূচি নেই। এটা শুধু সাধারণ একটি কর্মসূচি ছিল। পরবর্তীতে যদি কোনো কর্মসূচি থাকে তাহলে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহযোগিতায় জানিয়ে দেব।’
এ সময় তিনি চাকরির আবেদন ফি চারটি স্তরে রাখার দাবি জানান। এর মধ্যে ৯ম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি ২০০ টাকা, ১০ম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি ১৫০ টাকা, ১১ থেকে ১৪তম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা এবং ১৫ থেকে ২০তম গ্রেডের জন্য আবেদন ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানান।