বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উচ্চশিক্ষায় গবেষণা সহায়তা প্রকল্প ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’ পাচ্ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৩৯ শিক্ষার্থী। সাথে সাথে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচী’ খাত হতে বিশেষ অনুদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষক (প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর) নির্বাচিত হয়েছেন। সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান ফেলোশিপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে, ভৌতবিজ্ঞান, জীব ও চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান এই ৩ ক্যাটাগরিতে ফেলোশিপ পাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩ হাজার ২০০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী। যার মধ্যে ৪৮ জন এমফিল ও পিএইচডি গবেষকের ফেলোশিপ নবায়ন সম্পন্ন হয়েছে।
এবছর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের মোট ৩৯ জন শিক্ষার্থী এ ফেলোশিপ পাচ্ছেন। এদের মধ্যে ভৌতবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ২৯ জন এবং জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ১০ জন শিক্ষার্থী ফেলোশিপ পাচ্ছেন।
ভৌতবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে এই ফেলোশিপ পাচ্ছেন ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ২৪ জন শিক্ষার্থী। তারা হলেন- ফারাহ হোসাইন, মার্জিয়া খাতুন, গৌতম দাস, সোহানুর রহমান, হাসনাইন মুস্তাক, সুমাইয়া তাবাসসুম, নিলুফার ইয়াসমিন লিজা, রুকাইয়া পারভিন, রিতা খাতুন, তামান্না তানজিমা, সাদিয়া সুলতানা, নওরিন চৌধুরী, মাজেদুল হক সাচ্চু, নিপা খাতুন, শাহিনা আকতার, দিপা রানী পাল, রাশিব হাসান, আবু রায়হান, আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, জেসমিন আরা, মুতমাইন্না খাতুন, আবু মুছা, শামিম শেখ ও আব্দুল মালেক তুহিন।
ইলেকট্রিকাল এন্ড ইলেট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ৪ জন। তারা হলেন- মইনুজ্জামান, ঈসমাইল হোসেন, তন্দ্রা রাণী ও তানিয়া আখতার আশা। এবং ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের ১ জন। তিনি হলেন শারমিন সুলতানা।
জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে এই ফেলোশিপ পাচ্ছেন ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ৩ জন। তারা হলেন- জিনিয়া সুলতানা, মাহফুজুর রহমান ও আশিকুজ্জামান এবং বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৭ জন শিক্ষার্থী। তারা হলেন- মুনজুরা খাতুন, আনজুমানে জান্নাতী নুর, শামীম হোসেন, আব্দুল কাদের, মেরাজ আলী, লাবণ্য অদিতী ও শামীমা আকতার।
ফেলোশিপ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে এমএসসি শিক্ষার্থী প্রতি ৫৪ হাজার টাকা, এমফিল গবেষক (১ম বর্ষ ৬৮ হাজার ৪০০ টাকা, ২য় বর্ষ ৯৯০০০ টাকা) এবং পিএইচডি গবেষক তিন লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচী’ খাত হতে বিশেষ অনুদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষক (প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর) নির্বাচিত হয়েছে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আলাদা আলাদা প্রজেক্টে অনুদান পাচ্ছেন বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান। ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক এটিএম মিজানুর রহমান ও ড. আসাদ-উদ-দৌলা। এছাড়া ইলেকট্রিকাল এন্ড ইলেট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হুমায়ুন কবির ও সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ। ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান ও অধ্যাপক ড. মিনহাজ-উল-হক। এছাড়া ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) বর্তমানে আইসিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিপন মিয়া অনুদানের জন্য মনোনিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭-১৯৭৮ অর্থবছর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত/গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান প্রদান করা হয়।
সানবিডি/এনজে