[caption id="attachment_8104" align="alignright" width="474"] বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান। ফাইল ছবি[/caption]
সারাদেশে ২৩৪টি পৌরসভা নির্বাচনে নিজ দলের প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষমতা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহানকে দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিষয়টি অবহিত করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) চিঠিও দিয়েছেন তিনি। মূলত সেই চিঠি পৌঁছাতেই শনিবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়েছিলন বিএনপির প্রতিনিধি দল।
সিইসির অনুপস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব শামসুল আলমের হাতে চিঠিটি হস্তান্তর করে প্রতিনিধি দল।
বেলা ১২টায় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক ইমরান সালেহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি ইসি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। বেরিয়ে আসেন ২০ মিনিট পর।
প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন, বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, তাইফুল ইসলাম টিপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম। অপরজনের নাম জানা যায়নি।
শনিবার নির্বাচন কমিশন বন্ধ থাকে, বিষয়টি জানার পরও আপনারা কেন নির্বাচনে কমিশনে এসেছেন- জানতে চাইলে ইমরান সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর থেকে ২৪ ঘণ্টাই নির্বাচন কমিশন খোলা থাকে। বিষয়টি জেনে এবং কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই আমার এসেছি। কিন্তু এসে ইসিকে না পেয়ে নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিবের হাতে আমাদের চিঠিটি তুলে দিলাম।’
বিএনপি কেন ১৫ দিন নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নতুন করে ৫০ লাখ ভোটার হয়েছে। এ নির্বাচনে তাদের সম্পৃক্ত করতেই বিএনপি এ দাবি জানিয়েছে।’
নতুন ওই ভোটার চূড়ান্ত হবে জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারি মাসে। কিন্তু আপনার সময় চেয়েছেন ১৫ দিন? এর জবাবে ইমরান সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘ইসি এবং সরকার ইচ্ছে করলে সব সম্ভব। তারপরও আমাদের মুখপাত্র এ ব্যাপারে পরবর্তীতে বিস্তারিত জানাবেন।’
তিনি বলেন, ‘সরকার আমাদের বক্তব্য আমলে নিচ্ছে না। আমরা আশা করি, নির্বাচন কমিশন ১৫ দিন নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সারাদেশে আমাদের মেয়র প্রার্থীরা কমিশনের অফিসে গিয়ে বিভিন্ন হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। কারণ তারা গিয়ে কোনো রিটার্নিং অফিসার বা কোনো কর্মকর্তাকে অফিসে পাচ্ছেন না। এর ফলে তাদের মনোনয়ন দাখিল করতে পারছেন না।’