দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ শুন্য। স্বতন্ত্র পরিচালকদের মেয়াদ শেষ হলেও নতুন করে এখনও পরিচালক দেয়া হয়নি। পর্ষদের নেতৃত্বে ডিএসইর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৫টি কমিটি গঠিত হয়। বর্তমানে এর সবগুলোও শুন্য। ফলে দেশের আর্থিকখাতের সবচেয়ে স্পর্শকাতর এ প্রতিষ্ঠানটির জরুরি কোনো সিদ্ধান্ত আর সুযোগ থাকলো না।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটি নির্ধারিত সময়ের আগেই স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়া উচিত ছিল। তবে নিয়ন্ত্রকসংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বলছে, শিগগিরই তারা নতুন পর্ষদ সদস্য কমিটি অনুমোদন দেবে।
জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, স্বতন্ত্র পরিচালকদের প্রস্তাব এসেছে। এটি পরীক্ষা নিরিক্ষা চলছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বিষয়টি কমিশনের ভাবনায় আছে। আশা করছি, শিগগিরই অনুমোদন হয়ে যাবে।
জানা গেছে- ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুসারে ডিএসইর পর্ষদের মোট সদস্য সংখ্যা ১৩। এরমধ্যে সরকার মনোনীত স্বতন্ত্র পরিচালকের সংখ্যা ৭, শেয়ারহোল্ডারদের মাধ্যমে নির্বাচিত ৪, কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের মধ্য থেকে ১জন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদাধিকার বলে পর্ষদের সদস্য। ৭জন স্বতন্ত্র পরিচালকের মধ্যে ৬জনের মেয়াদ ১৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। এরপর নতুন করে আর পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়নি। ফলে পর্ষদের সভা ঢাকার মতো কোরাম নেই। যা প্রতিষ্ঠানটির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এছাড়াও ডিএসইর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারনী কাজের জন্য পর্ষদের সদস্যদের নেতৃত্বে ৫টি কমিটি থাকে। এগুলো হল- নমিনেশন অ্যান্ড রিমিউনারেশন কমিটি, রেগুলেটরি অ্যান্ড অ্যাফেয়ার্স কমিটি, অডিট অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটি, অ্যাপিলস কমিটি এবং কনফ্লিক্ট অ্যান্ড মিটিগেশন কমিটি। এই কমিটিগুলো শুন্য। ফলে অনেকটাই অভিভাবকহীন ডিএসই।
বর্তমানে পর্ষদে ৭জন পরিচালক রয়েছেন এরা হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাচিতদের মধ্যে মো. রকিবুর রহমান, মো. শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং মিনহাজ মান্নান ইমন। কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসাবে চীনের শেনঝেন স্টক এক্সচেঞ্জের শী ওয়েন হাই এবং ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক।