সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলো তার নীট প্রিমিয়ামের ১০ শতাংশের বেশী বেতন-ভাতা হিসেবে খরচ করতে পারবে না। গত ১০ ফেব্রুয়ারি বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এ নির্দেশ দিয়েছে । আইডিআরএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী স্বাক্ষরি সার্কুলারে আরও দুটি নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনা দুটি হলো-
সার্কুলারটিতে বলা হয়েছে, ১ মার্চ ২০২০ তারিখ থেকে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিসমূহে ব্যবসা আহরণের নিমিত্ত সকল উন্নয়ন কর্মকর্তাগণকে কমিশনের ভিত্তিতে বীমা এজেন্ট হিসেবে পদায়ন করতে হবে।
বীমা আইন, ২০১০ এর ৫৮(১) ধারা অনুযায়ী নন-লাইফ বীমা কোম্পানির বীমা এজেন্ট ব্যতীত অন্য কারএ কমিশন বা অন্য কোন নামে পারিশ্রমিক বা পারিতোষিক পরিশোধ না করার যে আইন রয়েছে তা যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
একটি সূত্র বলছে, সম্প্রতি অবৈধ কমিশন বন্ধে আইডিআরএ’র নানা মুখি পদক্ষেপের পর অভিযোগ ওঠে কোম্পানিগুলো কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন ভাতা বাড়িয়ে তা থেকে অবৈধভাবে কমিশন দিচ্ছে। বীমা খাতে গত কয়েকমাস থেকেই এমন আলোচনা ছিল। অনেকে দাবি করে আসছিলেন বেতন ভাতা বাড়িয়ে বা নতুন নিয়োগ দেখিয়ে যাতে কোনো কোম্পানি অবৈধ কমিশন দিতে না পারে। এরপরপরই বেতন-ভাতা খাতে ব্যয়ের সীমা বেধে দিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।