মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারানের বাংলাদেশ সফর স্থগিত হওয়ার খবর ছড়িয়েছিলো। তবে ২২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) তিনি ঢাকা আসছেন। তার এ সফরে ২৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক থেকেই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে বাংলাদেশের জন্য সুখবর প্রত্যাশা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে ইমরান আহমদ বলেন, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রীর আজই (বুধবার) ঢাকায় আসার কথা ছিল। কিন্তু সফরটি কয়েকদিন পেছানো হয়েছে। তিনি আসছেন ২২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার)।
ঢাকায় অবস্থিত মালয়েশিয়ার দূতাবাসও কুলাসেগারানের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দূতাবাসের একটি সূত্র জানায়, ২২ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগারানের ঢাকা আসার কথা রয়েছে। তিনি ২৪ তারিখ পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করেন।
সূত্র জানায়,মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বিষয়ে বৈঠক ছাড়াও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কর্মসূচি রয়েছে এম কুলাসেগারানের। তার এ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সঙ্গে বৈঠক করার কর্মসূচি রয়েছে।
যে সকল দেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার রয়েছে তার মধ্যে মালয়েশিয়া অন্যতম শীর্ষস্থানীয়। ২০১২ সালে দু’দেশের মধ্যে জিটুজি পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানোর চুক্তি হলেও সেই প্রক্রিয়া পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। এরপর ২০১৬ সালে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে কর্মী নিতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে ঢাকা ও কুয়ালালামপুর। এ পদ্ধতিতে পাঁচ খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে কর্মী পাঠানো হচ্ছিল। তবে এ চুক্তির আওতায় মাত্র ১০টি জনশক্তি রফতানিকারক এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেয়া হয়। এসব এজেন্সির কাছ থেকে মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানি কর্মী নিতে পারত।
জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে সরকারি খরচ ৪০ হাজারের কম নির্ধারিত হলেও জনপ্রতি কর্মীর কাছ থেকে চার লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা করে নেয় সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো। এ চক্রের তৎপরতার কারণে দু’দেশের নেতৃত্ব পর্যায়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশি কর্মী নেয়া বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া।
বাজারটি পুনরায় উন্মুক্ত করতে কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে গত নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সরকারি সফরে মালয়েশিয়া যান প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ। ওই সফর শেষে দু’দেশের জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির চতুর্থ বৈঠক ২৪ ও ২৫ নভেম্বর ঢাকায় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সে বৈঠকও স্থগিত করে মালয়েশিয়া। এবার ২৪ ফেব্রুয়ারি বৈঠকটির অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।