জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা বাস্তবায়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে সরকার।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর আয়োজিত এ কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্তকরণের আগে (ওএসএইচ) বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের কাছে থেকে মতামত গ্রহণের জন্য আজ হবিগঞ্জের বাহুবলে 'দি প্যালেস' রিসোর্ট-এ দিনব্যাপী এক পরামর্শ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় ।
কর্মশালার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং ভবিষ্যতের কাজের ঝুঁকি মোকাবেলায় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার ২০১৩ সালে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। সেখানে সকল অংশীজনের কার্যক্রমকে সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং এর আওতায় আমরা গত বছর পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি প্রোফাইল তৈরি করেছি। শ্রমিকদের উন্নত ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে আমরা রাজশাহীতে আন্তর্জাতিকমানের জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট নির্মাণ করছি। এগুলোর উপর ভিত্তি করে আমরা জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা বাস্তবায়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছি।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর্মস্থলে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি অনুশীলনে শ্রমজীবী মানুষ দুর্ঘটনা, আঘাত বা প্রাণহানি থেকে রক্ষা করবে এবং সামগ্রিকভাবে কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে।
জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি কর্মপরিকল্পনা সামগ্রিকভাবে সকল কর্মপরিবেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মুজিববর্ষ এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবসকে সামনে রেখে নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উক্ত কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্তকরণে এখনই উপযুক্ত সময় বলে তিনি বিশ্বাস করেন
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম এর সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য বেগম শামছুন্নাহার ভুঁইয়া, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান জি এম হাসিবুল আদম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব নরেন দাস, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব একেএম শামসুল আরেফিন, আইএলও এর কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো পোতিআইনেন, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একেএম মিজানুর রহমান বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তৃতা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়। কর্মশালায় জাতীয় কর্মপরিকল্পনার খসড়া উপস্থাপন করেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব এবং আইএলও বাংলাদেশ এর পরামর্শক মো. আশরাফ শামীম এবং পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি এবং ভবিষ্যতের কাজ এর ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএলও এর সিনিয়র ওএসএইচ বিষেশজ্ঞ ইউশি কাওয়াকামী।
আইএলও এর কারিগরি সহযোগিতায় ওএসএইচ নীতিমালা বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন চূড়ান্তকরণের কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, বিভিন্ন দাতা দেশ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং মালিক - শ্রমিক সংগঠনের অর্ধশত প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
সানবিডি/ঢাকা/এসআই