লাগাম ছাড়া এসকে ট্রিমস; এক মাসে দর বেড়েছে ৬৩%
নিজস্ব প্রতিবেদক আপডেট: ২০২০-০২-২৪ ১৩:১২:২৪
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের কোম্পানি এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের দরে লাগাম ছাড়া বাড়ছে। বিগত এক মাসে কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দর বেড়েছে ৬৩ শতাংশ। তবে এই দর বাড়ার পেছনে লুকায়িত কোন কারণ নেই বলে জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
কোম্পানিটি ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে এক সাথে লেনদেন শুরু হয়। প্রথম দিন কোম্পানিটির শেয়ারের দর বাড়ে ৩২৪ শতাংশ বা ৩২ টাকা ৪০ পয়সা। ওই দিন শেয়ারটির ৪৫ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিনশেষে ৪২ টাকা ৪০ পয়সা শেষ হয়। এর পর ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ২৫ টাকা ৮০ পয়সা নামে শেয়ারের দর। এর পর থেকে বাড়তে শুরু করে। তবে এর মধ্যে ২৮ অক্টোবর ২০১৮ সালে একদিন ২৭ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন শেষ হয়। এর পর থেকে বাজার খারাপ হলেও কমেনি এসকে ট্রিমসের শেয়ারের দর। তবে সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে টানা দর বাড়তে থাকে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ৭২ টাকা ৫০ পয়সা এসে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ে প্রতিটি শেয়ারের দর বেড়েছে ৬২ দশমিক ৫৫ শতাংশ বা ২৭ টাকা ৯০ পয়সা।
এদিকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ডিএসইতে দুটি সংবাদ দিয়েছে কোম্পানিটি। এর একটি হলো দ্বিতীয় ৬ তলা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন। এই নতুন ভবনটিতে তৈরি করা পণ্য রপ্তানির করা হবে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই নিউজকে সামনে রেখে একটি গ্রুপ অনকে আগে থেকেই শেয়ারের দর বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। বাজারে সংবাদ ছড়িয়েছে শেয়ারের দর অনেক দূর যাবে। রপ্তানিতে আয় হবে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে কোম্পানি সচিব সিরান বিন সারওয়ার সানবিডিকে বলেন, কোম্পানিতে গোপন কোন সংবাদ নেই। যা ছিলো আমরা বিএসইসি,ডিএসই ও সিএসইকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ সানবিডিকে বলেন, বাজারে এক ধরণের কৃত্তিম সংকট তৈরি করে একটি গ্রুপ বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার নিয়ে খেলাদুলা করে। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে নজরদারী বাড়ানো প্রয়োজন।
উল্লেখ, বিএসইসির ৬৩০তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, ভবন নির্মাণ এবং আইপিওর কাজে ব্যয় করবে। এর মধ্যে মেশিনারিজ কিনতে ১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, ভবন নির্মাণে ১৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা এবং আইপিও খরচে ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
কোম্পানিটি মূলত সুইং থ্রেড, ইলাস্টিক, পলি, কর্টন, ফটো কার্ড, ব্যাক বোর্ড, বার কোড, হ্যাংট্যাগ, টিস্যু পেপার, গাম টেপ ইত্যাদি তৈরি করে থাকে। আইপিওতে আসার সময় কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ছিলো ৭০ কোটি টাকা। বর্তমানে পরিশোধিত মূলধন ৮৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার রয়েছে ৮ কোটি ৪৭ লাখ।