বীমাশিল্পের সংস্কার : আইনী ভাবনা ও বাস্তবতা

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০২০-০৩-০৪ ১১:৪২:৪৮


মোঃ নূর-উল-আলম  এসিএস, এলএলবি
সারা বিশ্বে বিমা এজেন্ট একটি প্রতিষ্ঠিত ধারণা । বাংলাদেশেও এর ব্যতীক্রম নয় ; এখানেও তাই এটি একটি প্রতিষ্ঠিত বিষয় । সাধারণ মানুষের অনেকেই মনে করেন বিমা এজেন্ট বিমা কর্মচারী ।এ প্রবন্ধে আইন , বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা এবং এ বিষয়ে বৈশ্বয়িক অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে ।

ঝুঁকি মানব জীবনে অবিচ্ছেদ্য অংশ। চাইলেও এ থেকে মানুষের নিস্তার নেই । একা চলাচল এবং বসবাসের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য মানুষ যথাক্রমে দল বেঁধে চলাফেরা এবং সমাজ বদ্ধ জীবন যাপন শুরু করে । ইতিহাস হতে জানা যায় রোম দেশে ৫০ বছর পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তি Colegia Tenuforum নামক একটি সমিতিতে চাঁদা দিত এবং সমিতির কোন সদস্যের মৃত্যুতে তারা উক্ত টাকা হতে খরচ করত । সামুদ্রিক জাহাজের গমনাগন সংক্রান্ত ঝুঁকি বহনের উদ্দ্যেশে ব্যবসায়ীদের জোটবদ্ধতা থেকে আধুনিক বিমার জন্ম । মুলত,একের ঝুঁকি সকলে ভাগা-ভাগি করা থেকেই বিমা ধারণার জন্ম হয় ,বিমার ভাষায় যাকে সহযোগীতার নীতি বলা হয় ।

বিমা কোম্পানি প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বিমা গ্রাহকের ঝুঁকি নিজের কাঁধে তুলে নেয় । বিমা হলো একটি চুক্তি। এজন্য বিমা পলিসিকে বিমা চুক্তি বা ক্ষতিপূরেনর চুক্তিও বলা চলে । ইহা দুই পক্ষের মধ্যে একটি আইন সম্মত চুক্তি। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ক্ষতিপূরণ দিবে বলে নিশ্চয়তা দিয়ে চুক্তিতে আবদ্ধ হয় । অন্যপক্ষ , যার বিমা যোগ্য স্বার্থ আছে , ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট হারে প্রিমিয়াম প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়ে চুক্তিতে আবদ্ধ হয় । প্রথম পক্ষ বিমাকারী বা বিমা কোম্পানি এবং দ্বিতীয় পক্ষ বিমাগ্রহীতার মধ্যে যথাক্রমে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং প্রিমিয়াম প্রদানের নিশ্চয়তা সম্বলিত একটি চুক্তি। বিমা এজেন্ট হলো উক্ত চুক্তি সম্পাদনের সহায়তাকারী তৃতীয় পক্ষ ।

যে ব্যক্তি বিমা কোম্পানির পক্ষে গ্রাহকের কাছে বীমা স্কিম/বিমা পলিসি বিক্রি করে থাকে তাকে এজেন্ট বা বিমা প্রতিনিধি বলে। তাই বিমার ব্যবসায় ক্ষেত্রে এজেন্টের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । বিমা প্রতিনিধি বিমাগ্রাহক ও বিমা কোম্পানির মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করে থাকে। বিমা আইন ২০১০ এর ১২৪ ধারার বিমা এজেন্ট সংক্রান্ত বিষয় বর্নিত হয়েছে । আইন অনুযায়ী একজন বিমা এজেন্ট বা বিমা প্রতিনিধি বিমা কোম্পানির পক্ষে বিমা কোম্পানির বিমা পলিসি বিক্রি করার কাজ করে পারিশ্রমিক হিসেবে বিমা কোম্পানী হতে কমিশন পেয়ে থাকে । এ কারনে জীবন বিমা কিংবা সাধারণ বিমা ব্যবসার প্রসারের সাথে এজেন্টের কর্মকান্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।
বিমা আইন বিমা এজেন্টের সাথে বিমাকারী বা বিমা কোম্পানির সম্পর্কের বিষয়ে নিরব থাকলেও বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনায় দেখা যায় , বিমা কোম্পানি বিমা এজেন্টের কোন দায় বহণ করে না ।

বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনায় দেখা যায়, এজেন্ট কর্তৃক প্রিমিয়াম গ্রহণ কিন্তু বিমা কোম্পানিতে জমা না হলে সমাপ্ত চুক্তি নয় ষ অপর এক মোকদ্দমার রায়ে দেখা যায় বিমা এজেন্ট গ্রাহকের প্রস্তাবের ফরম পূরণ করে এবং প্রস্তাবক শুধু দস্তখত দেয়। মামলার রায়ে বলা হয় বিমা এজেন্ট এক্ষেত্রে বিমা গ্রাহকের প্রিতিনিধি হিসেবে কাজ করেছিলেন , তার অসত্য বর্ননার দায় কোম্পানি নিবে না।

বাংলাদেশে প্রচলিত বিমা পলিসি বিক্রির প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে দেখা যায় ,বিক্রি প্রক্রিয়ার শৃংখলে এজেন্ট হলো প্রান্তিক ব্যক্তিবর্গ মাত্র। আইনে জীবন বিমার ক্ষেত্রে বিমা এজেন্ট নিয়োগকারী(এমপ্লয়ার অব এজেন্ট )ব্যক্তি এবং সংস্হা বা কোম্পানি নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে ।অপরদিকে, সাধারণ বিমার ক্ষেত্রে বিমা এজেন্ট নিয়োগকারী ব্রোকার (ইনসিওরেন্স ব্রোকার) কোম্পানির কথা বলা হয়েছে।

বিমা আইন ২০১০ এর ১২৪ ধারায় নন-লাইফ বিমা কোম্পানি স্বয়ং এবং অনুমোদিত ব্রোকার ( ইনসিওরেন্স ব্রোকার ) কোম্পানি তথা কর্পোরেট ব্রোকার কর্তৃক বিমা এজেন্ট নিয়োগের মধ্যমে বিমা পলিসি বিক্রির সুযোগ রাখা হয়েছে। ১২৬ ধারায় ইনসিওরেন্স ব্রোকার বা বিমা আমন্ত্রণকারী হিসেবে শুধু মাত্র কোম্পানির বিধান রাখা হয়েছ । আইন বিশ্লেষণ করে দেখা যায় উক্ত বিমা আমন্ত্রণকারী বিমা কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে গন্য হন না এবং তার মধ্যস্হতায় বীমা কোম্পানি কতৃক ইস্যুকৃত পলিসির উপর তার কোন আইনী দায়ও নাই। সুতরাং , একই বিষয় প্রযোজ্য ব্রোকার কর্তৃক নিয়োগকৃত বিমা এজেন্টের ক্ষেত্রেও ।এখানে আরো উল্লেখ্য যে বাংলাদেশে প্রচলিত বিমা আইন ২০১০ এর ১২৫ ধারায় জীবন বিমা কোম্পানির পলিসি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে এজেন্ট নিয়োগকারী (এমপ্লয়ার অব এজেন্ট) ব্যক্তি এবং সংস্হা বা কোম্পানি নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে।

সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন এ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) কর্তৃক সার্কুলার নং-নন-লাইফ ৭৫/২০২০ জারি করা হয়েছ , যাতে বলা হয়েছে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো বেতন-ভাতা খাতে নীট প্রিমিয়ামের ১০ শতাংশের বেশি খরচ করতে পারবে না ।উপরন্তু, আইডিআরএ’র জারি করা ওই সার্কুলারে বেতন ভাতায় ব্যয়ের সীমা বেঁধে দেয়ার পাশাপাশি আরো ২টি নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সার্কুলারটিতে বলা হয়েছে, ১ মার্চ ২০২০ তারিখ থেকে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিসমূহে ব্যবসা আহরণের নিমিত্ত সকল উন্নয়ন কর্মকর্তাগণকে কমিশনের ভিত্তিতে বীমা এজেন্ট হিসেবে পদায়ন করতে হবে । বীমা আইন, ২০১০ এর ৫৮(১) ধারা অনুযায়ী নন-লাইফ বীমা কোম্পানির বীমা এজেন্ট ব্যতীত অন্য কারও কমিশন বা অন্য কোন নামে পারিশ্রমিক বা পারিতোষিক পরিশোধ না করার যে আইন রয়েছে তা যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে হবে।

আইনের সাথে আই.ডি.আর.এ কর্তৃক ইস্যুকৃত সার্কুলার নং-নন-লাইফ ৭৫/২০২০ এর সম্পূরক সম্পর্ক থাকলেও বিমা শিল্পর দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থের সাথে বিষয়টি পরিপূরক । কারণ, নন-লাইফ বিমার বর্তমান বাজার তৈরীতে উক্ত বিমা উন্নয়ণ কর্মকতাদের অবদান অনস্বীকার্য ষ তারাই দীর্ঘ দিন ধরে সাধারণ বিমা সেবা গ্রাহকের দোর গোড়ায় পৌছিঁয়ে অবহেলিত এ শিল্পে সেবা দিয়ে আসছে । হঠাৎ করে বিমা সেবা প্রদানের ডিষ্ট্রিবিউশন চ্যানেল থেকে তাদেরকে বিমুখ না করে বিকল্প খুঁজতে হবে । আবার কেউ ,ব্যক্তি কিংবা বিমা কোম্পানি , যাতে কোন অবৈধ সুযোগ নিতে না পারে সেদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে । নচ্যেৎ অবৈধ কমিশন বন্ধে আই.ডি.আর.এ এর সকল তৎপরতা ব্যর্থতায় পরিণত হবে। পরিশেষে , সাধারণ বিমার বাজার আবার লাগামহীন হয়ে পড়বে ।

গতবছর থেকে অবৈধ কমিশন বন্ধে আইডিআরএ’র নানা মুখি পদক্ষেপের পর অভিযোগ ওঠে অনেক সাধারণ বিমা কোম্পানি কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন ভাতা বাড়িয়ে দেখিয়ে তা থেকে অবৈধভাবে কমিশন দিচ্ছে। বীমা খাতে গত কয়েকমাস থেকেই এমন আলোচনা ছিল । আবার অনেকে দাবি করে আসছিলেন বেতন ভাতা বাড়িয়ে দেখিয়ে বা নতুন নিয়োগ দেখিয়ে যাতে কোনো কোম্পানি অবৈধ কমিশন দিতে না পারে । এরপরপরই আইডিআরএ’র সার্কুলার নং-নন-লাইফ ৭৫/২০২০ জারি করে বেতন-ভাতা খাতে ব্যয়ের সীমা বেঁধে দিল ষ অনেকগুলো নন-লাইফ বিমাকারীর ওয়েবসাইট ভিজিট করে দেখা যায় অদ্যবধি অনেকেই সেখানে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং এজেন্টদের তালিকা প্রদর্শন করেনি । বিষয়টি বিমা শিল্প প্রেমিদের উক্ত দাবির সত্যতা অনেকাংশে নিশ্চত করেছে ।

এখন যদিও আইডিআরএ সাময়িক সময়ের জন্য উক্ত সার্কুলার স্থগিত করছে কিন্তু আবার চালু হলে উক্ত সার্কুলার পরিপালন করতে নন-লাইফ বিমা কোম্পানিগুলোর সামনে এজেন্ট কমিশন বাবদ নীট প্রিমিয়ামের ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং বেতন-ভাতা বাবদ নীট প্রিমিয়ামের ১০ শতাংশের বেশি খরচ করতে পারবে না । উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিমা উন্নয়ণ কর্মকতাদের বেতন-ভাতা সমন্বয় করতে আইন পরিপালনকারী নন-লাইফ বিমা কোম্পানিগুলোর জন্য কিছুটা সমস্যা হচ্ছে ; যে সকল কোম্পানি মার্কেট প্রকৌশলে রত তাদের জন্যতো বটেই ।যে কোন আইনের অন্যতম মুলনীতি হলো নিরপরাধ কেউ যাতে শাস্তি না পায় সেটি নিশ্চত করা ।আবার অপরাধীও যাতে কোনভাবে ছাড়া না পায় সেটিও আইনের অন্যতম উদ্দেশ্য । বিচারের ক্ষেত্রে বিচারককে সব সময় প্রথমোক্তটিই বেশী নিশ্চত করতে হয় ।
সকল উন্নয়ণ কর্মকতাদের এজেন্ট হিসেবে গন্য করলে সেটি তাদের সমাজিক মর্যদা এব দীর্ঘ লব্ধ অভিজ্ঞতাকে খাটো করবে । এতে করে মুখ্যনির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যেও ছেদ পড়বে । উপরন্তু, বিমা উন্নয়ণ কর্মকতা শব্দটিও সময়োপযোগী নয় । বরং তাদের বিমা বিপনণ কর্মকতা হিসেবে স্বীকৃতি দিলে বিষয়টি ভালো শোনায় ।

আবার, উক্ত সার্কুলার পূর্ব পরিস্থিতির রাশটেনে ধরে এখাতের সত্যিকারের উন্নয়নের স্বার্থে বিকল্প কৌশল খোঁজাও জরুরী হয়ে পড়েছে । এক্ষেত্রে সাময়িক সময়ের জন্য নীট প্রিমিয়ামের বিপরীতে বিমা বিপনণ কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা বিবেচনা করা যেতে পারে ।
পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় নীতিমালা করে সফল বিমা বিপনণ কর্মকর্তাদের ইনসিওরেন্স ব্রোকার কোম্পানি তথা কর্পোরেট ব্রোকার কোম্পানি খোলায় উৎসাহিত করা যেতে পারে । যত দ্রুত সম্ভব ব্যাংকাস্যুরেন্স চালুর ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের মতো প্রথমে গাইডলাইন তৈরি করতে হবে এবং ওই গাইডলাইনের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ ।

ব্যাংকাস্যুরেন্স ব্যবহারে বিমা কোম্পানির ব্যবসার নতুন নতুন উৎস সৃষ্টি হবে । অত্যাধুনিক এই বিক্রয় প্রক্রিয়া ব্যবহারে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা খরচ কমে আসবে । বিমা কোম্পানিগুলো অপেক্ষাকৃত কম খরচে ব্যাংকের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বৃহত্তর ভৌগলিক অঞ্চলকে তাদের সেবার আওতায় নিয়ে আসতে পারবে । অর্থাৎ প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদেও বিমা সেবা পৌঁছানো সহজ হবে ।অধিকন্তু , ব্যাংকের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সেবা সরবরাহ করতে পারলে গ্রাহকের মানসিক বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনে বীমা কোম্পানিগুলোর নাটকীয় উন্নতি হবে ।এছাড়া জীবন বিমার ক্ষেত্রে ব্যাংকাস্যুরেন্সের মাধ্যমে বীমা কোম্পানি সহজেই নবায়ন প্রিমিয়াম পেতে পারে এবং ল্যাপস বা তামাদির ঘটনা বহুলাংশে হ্রাস পাবে । এভাবে ত্রিবিদ কার্যকর বিকল্প চ্যানেলের প্রতিযোগীতায় বিমা খাত শৃংখলায় ফিরে আসবে ।

ব্যাংকাস্যুরেন্সের নীতিমালা তৈরীর সময় অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা নিয়োগে কিংবা পদায়নের ক্ষেত্রে বিমা অভিজ্ঞতার শর্তজুড়ে দিয়ে বিমা পেশাজিবীদের দীর্ঘলব্ধ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর কথা অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে। এতে করে সংস্কারের কারনে কোন বিমা কর্মকর্তাতোও বেকার হবেই না বরং এ বিষয়টি ভালো বেতন-ভাতা এবং বিমা অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিমা শিল্পের প্রতি মেধাবীদের আগ্রহ বাড়াতে চমৎকার শ্রেষ্ঠ অনুঘটকের কাজ করবে।

জনগনের সামনে যত বেশী বিনিয়োগের বিকল্প পথ থাকবে সেটি আর্থনীতির জন্য ততবেশী ভাল । বিমা হতে পারে বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত ।উপরন্তু এখন সময় এসেছে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ব্যাংক এবং বীমা উভয় খাতকেই একে অপরের সহযোগী হিসেবে এগিয়ে আসার । এতে ব্যাংক, বীমা এবং দেশের অর্থনীতি সকলের জন্যই কল্যাণ নিহিত । তাই বর্তমান ব্তাবতায় অতীব প্রয়োজনীয় বিকল্প বিমা সেবা বিপনণ চ্যানেল সৃষ্টির লক্ষ্যে বিধি-বিধান প্রনিত হলে বিমাখাত হবে অলস সন্ঞ্চয় বিনিয়োগের জন্য সম্ভাবনার নতুন দুয়ার ! জনগন পাবে একই সাথে ঝুঁকি বহন এবং গচ্ছিত অর্থ ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা ; সক্ষম এবং কার্যকর বিমাখাত এ শিল্পর প্রতি জনগনের অনাগ্রহ এবং আস্হাহীনতা লাগব করবে ষ আয়ের তুলনায় খরচ কমে যাওয়ার ফলে বিমা কারীর ব্যবস্থাপনা ব্যয় নাটকীয়ভাবে কম যাবে । প্রান চান্ঞ্চল্য ফিরে আসবে চিকিৎসা খাতসহ বীমা শিল্পর সাথে জড়িত অপরাপর খাত সমূহেও । তাই যতদ্রুত সরকার এখাতে কার্যকর সংস্কার করবে ততোই অর্থনীতির জন্য মঙ্গল ।

লেখক : সহযোগী সদস্য – ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (ICSB)
ভাইস- প্রেসিডেন্ট – প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড
মোবাইল : ০১৬১০-১২৩২২৩
ইমেইল : csnoor.bd@gmail.com