পরীক্ষামূলক মেলার শেষদিনে প্রত্যাশার হাতছানি

আপডেট: ২০১৫-১১-২৮ ২১:৫০:১৬


cap_92618শেষ বেলায় এসে জমে উঠল ব্যাংকিং মেলা। প্রথমবার আয়োজনের সর্বশেষে দুদিনে এ মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়া না হলেও টইটম্বুর বলা চলে অনায়সে। আয়োজকদের মতে, সাপ্তাহিক ছুটির দিনই এ ভিড়ের কারণ। এ ভিড় দেখে আগামীতে মেলা আয়োজন করা হলে পরিসর বাড়ানো প্রয়োজন বলেও মনে করছেন তারা।

মঙ্গলবার উদ্বোধনের পর থেকে টানা তিনদিন মেলা জুড়ে নানা আয়োজনের মাঝে দর্শনার্থীর হাহাকারটা স্পষ্ট ছিল। তবে শুক্রবার দিনের শুরুতেই পাল্টে যেতে থাকে মেলার চিত্র। দিন না গড়াতেই মেলা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ভর্তি দর্শনার্থীর ভিড়ে। একই অবস্থা মেলার শেষ দিন শনিবারেও।

চট্টগ্রাম থেকে ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা এসেছিলেন মোসলেম উদ্দিন। ব্যাংকিং মেলার কথা শুনে ফিরতি গাড়িতে ওঠার আগে হাজির হলেন বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে। কথা প্রসঙ্গেই জানালেন, এ ধরনের আয়োজন খুবই দরকারি। বিশেষ করে আমরা যারা রাজধানী থেকে দূরে থাকি তাদের জন্য। অনেক জায়গায়ে তো কোন ব্যাংকেরই শাখা নাই। সেসব জায়গায় এসব আয়োজন করলে বেশি ভালো হয়।

শনিবার মেলা প্রাঙ্গন ঘুরে দেখা গেল, প্রায় সব বয়সী মানুষ হাজির। যেহেতু আয়োজনটা বড়দের তাই একুট বেকায়দায় পড়েছে আগত শিশুরা। বাবার সাথে মেলায় ঘুরতে আসা সায়হামের অভিযোগ, এখানে মানুষ ছাড়া কিছু দেখার নাই। মেলায় আগত অভিভাবক দর্শনার্থীরাও শিশুদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা উচিত বলে মনে করছেন।

আয়োজক বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব আয়োজন রাখতে হলে মেলার পরিসর বাড়াতে হবে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এবারের আয়োজন অনেকটা পরীক্ষামূলক। তবে শেষ দিকে এসে যে দর্শনার্থী দেখেছি তাতে নিঃসন্দেহে বলতে পারি পরিসর বাড়াতে হবে।

এদিকে মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় দেখে বেশ উচ্ছ্বসিত অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলো। ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা শাকিল আহমেদের ভাষায়, এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করে অনেক কিছু জেনেছি-দেখেছি-বুঝেছি। এর পুরোটাই আমাদের জন্য বাড়তি পাওনা।

সানবিডি/ঢাকা/রাআ