দিনাজপুরের দীঘিপাড়া কয়লাখনির উন্নয়ন করবে সরকার। এজন্য খনি এলাকার ভূমি অধিগ্রহণ না করে লিজ নেয়া ও ভূমি মালিকদের খনির শেয়ার দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে এক মাসের মধ্যে একটি প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পেট্রোবাংলাকে নির্দেশনা দিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
গত ১৯ নভেম্বর এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দীঘিপাড়া খনির উন্নয়ন ও কয়লা উত্তলনের জন্য বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানিকে (বিসিএমসিএল) লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। খনির উন্নয়নের জন্য যে ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে না তা পুরোপুরি কিনে না নিয়ে লিজ আকারে গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ভূমির মালিকদের খনির শেয়ার দেয়া হবে। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখে আগামী এক মধ্যে পেট্রোবাংরা জ্বালানি ওখনিজ সম্পদ বিভাগকে অবহিত করবে।
এদিকে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরিরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে পেট্রোবাংলাকে ডিপিপি মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হবে।
এ খনি থেকে দিনে ১০ হাজার মেট্রিকটন কয়লা উত্তোলনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর ১৯৯৫ সালে দিঘীপাড়া কয়লা খনি আবিষ্কার করে। খনিটি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ও সালখুর ইউপি এবং হাকিমপুর উপজেলা বোয়ালদা ইউনিয়ন এলাকায় অবস্থিত। দীঘিপাড়া কয়লা খনির বেসিন এলাকার পরিমাপ ১০ বর্গকিলোমিটার। এখানে সম্ভাব্য মজুদের পরিমাণ ৫০০ মিলিয়ন মেট্রিকটনের বেশি। এ ছাড়া সহায়ক সম্পদ হিসেবে ২০০ মিলিয়ন টন সিলিকা (বালু) ও সাদা মাটির সন্ধান পাওয়া গেছে।
দীঘিপাড়া খনিতে ৩২৮ থেকে ৪০৭ মিটার গভীরতায় কয়লা রয়েছে। ভূতাত্ত্বিক জরিপে দেখা যায় খনিটির কয়লার স্তরগুলোর পুরুত্ব সর্বোচ্চ ৭২ দশমিক ৩৬ মিটার। সংশ্লিষ্টদের মতে দীঘিপাড়ার কয়লা সবচেয়ে উন্নতমানের বিটুমিনাস জাতীয় কয়লা। এখান থেকে কম খরচে উত্তোলন করা সম্ভব।
বাংলাদেশে মোট পাচটি কয়লা খনি রয়েছে। এগুলো হলো দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া, দিঘীপাড়া, ফুলবাড়ী, জয়পুরহাটের জামালগঞ্জ এবং রংপুরের খালাশপীর।পাঁচ খনিতের কয়লার সম্ভাব্য মজুদ ৩০০ কোটি মেট্রিক টন।
এখন শুধু বড়পুকুরিয়া থেকে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে। সূত্র: বাংলামেইল