সম্প্রতি কোন ধরণের দিকনির্দেশনা ছাড়াই পেয়াঁজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।তবে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে পেঁয়াজের রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলেও এ-সংক্রান্ত দাপ্তরিক নির্দেশনা জারি করা হয়নি। এ কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা চাইলেও এখনই এলসি খুলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারছেন না। ৯ মার্চ নাগাদ পেঁয়াজ আমদানির দাপ্তরিক নির্দেশনা জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় রফতানিকারকরা। এরপর দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিতে আনুষ্ঠানিক কোনো বাধা থাকবে না।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন ও মাহফুজার রহমান বাবু জানান, গত সপ্তাহে ভারত সরকার পেঁয়াজের রফতানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। তাত্ক্ষণিকভাবে দেশটির রফতানিকারকরা আমাদের বিষয়টি জানিয়েছেন। আমদানিকারকরা দেশে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করতে আবেদন করেছেন। তবে ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়টি দাপ্তরিক নির্দেশনা বা নোটিফিকেশন আকারে প্রকাশ করেনি। এ কারণে আমদানি প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করা যাচ্ছে না।
মাহফুজার রহমান বাবু বলেন, বৃহস্পতিবার কিংবা শুক্রবার নোটিফিকেশন জারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনো কারণে তা হয়নি। রোববার ভারতে সাপ্তাহিক ছুটি। এদিনও নোটিফিকেশন জারি হয়নি। ৮ মার্চ দোলযাত্রা উৎসব শেষে পেঁয়াজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার নোটিফিকেশন জারি হতে পারে বলে দেশটির রফতানিকারকরা জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, নোটিফিকেশনে পেঁয়াজের সম্ভাব্য রফতানিমূল্য, এলসির সম্ভাব্য মূল্যমান, প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা দেয়া থাকবে। এটি দেখার পর বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দেশীয় আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানিতে এলসি খুলবেন। তাই আপাতত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।
উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ সংকট ও দাম বৃদ্ধির কারণে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এ কারণে টানা পাঁচ মাস হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্যটির আমদানি বন্ধ রয়েছে।
সানবিডি/এনজে