জীবনে টিকে থাকার তাগিদে কত রকম কাজই করতে হয় মানুষকে। রংপুর সিটি বাজারে দেখা যায় অন্যরকম এক দৃশ্য।মহিলারা লাইন ধরে বসে বটি দিয়ে মাছ কাটছে। এভাবেই ২০/২৫ নারী তাদের অভাব-অনটনের সংসারে একটু ভালভাবে বেচেঁ থাকতে অন্যের বাড়িতে ঝিঁ এর কাজ কিংবা ভিক্ষা না করে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এ কাজ করে যাচ্ছে।
দেশী মাছ বিক্রেতা জহির বলেন, প্রতিদিন মানুষ বাজারে মাছ কিনতে আসে এবং প্রায় সবাই একটু ঝামেলামুক্ত থাকতে তাদের ক্রয়কৃত মাছ পরিষ্কার করে কেটে নেয়। শুধু বাসায় রান্না করতে বাকি।
এ কাজে নিয়োজিত অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা এসব কাজ করেন কেজি হিসেবে। প্রতি কেজি মাছ (প্রকারভেদে) বিশ থেকে পচিঁশ টাকা করে নেন। এছাড়া কেউ ছোট মাছ নিলে আমাদের কাজে খুশি হয়ে বাড়তি কিছু দেন।
আরজিনা খাতুন বলেন, আমার অভাবের সংসার বয়সের ভাড়ে কোন কাজ করবার পারিনা। আবার না খেয়া থাকতেও পারিনা। অন্যের বাড়িতে ঝিঁ'র কাজ করতে মন চায় না। আমি ভিক্ষা করিনা, সৎ পথে উপার্জন করে সুখে দিন পার করছি।
প্রতিদিন কি পরিমান উপার্জন হয় এবং তাতে সংসার চলে কি না এই প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, গড়ে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা আয় হয়। তিনি অনেকটা গর্ব করে বলেন হালাল রুজি করি কম হলেও চলে।
খাদিজা খাতুন নামে এ কাজে নিয়োজিত আর একজন বলেন, প্রতিদিন আয় কম হলেও শুক্রবার আয় বেশি হয়। এদিন অনেক বেশি মানুষজন বাজারে আসে। অনেকেই বাড়তি টাকা দেয়, তাতে করে আমাদের ভালভাবেই দিন চলে যায়।
উপস্থিত কয়েকজন মাছ ক্রেতা বলছেন, এরাই সমাজ পরিবর্তনের উদাহরণ। ভিক্ষাবৃত্তিকে না বলে সৎভাবে বাচাঁর জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে।
সানবিডি/এনজে