পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাট খাতের নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যমান সিগনেটরির পরিবর্তে নতুন দুজন সিগনেটরি নিয়োগ দেবেন আদালত। আদালত কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত সিগনেটরির স্বাক্ষরের মাধ্যমে কোম্পানির ব্যাংকিং লেনদেন চলবে। সোমবার কোম্পানিটির রিট আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট থেকে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নর্দার্ন জুটের একজন কর্মকর্তা বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা সোমবার বেশকিছু কাগজপত্র জমা দিয়েছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত দুজন আইনজীবীকে নতুন সিগনেটরি হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ফলে এতদিন যারা সিগনেটরি ছিলেন, তাদের স্বাক্ষরে ব্যাংক লেনদেন করা যাবে না। নতুন সিগনেটরি দায়িত্ব নেয়ার পর ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন চালু হলে তখন কোম্পানির উৎপাদন শুরু করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।

পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন

 ক্যাপিটাল নিউজ–ক্যাপিটাল ভিউজ–স্টক নিউজ

এদিকে সোমবার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে কোম্পানিটি জানায়, ১ মার্চ আদালত কোম্পানির রিট আবেদন আংশিক শুনেছেন এবং কোম্পানিকে আরো কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্র জমা দিতে বলেছেন। তারা কোর্টের নির্দেশ অনুসারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেবে। তাছাড়া কোম্পানিটির পর্ষদ আজ পর্যন্ত কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়িয়েছে। কারণ ব্যাংক হিসাব জব্দ থাকার কারণে কোম্পানির কাছে শ্রমিকদের বেতন এবং কাঁচা পাট ও খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহকারীদের দেয়ার মতো অর্থ নেই।

এর আগে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর দেশের সব ব্যাংককে নর্দার্ন জুটের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানিটির সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। এ কারণে কোম্পানিটি রফতানির বিপরীতে পাওয়া অর্থ তুলতে পারছে না। এতে কোম্পানির কাছে পর্যাপ্ত অর্থ থাকা সত্ত্বেও কাঁচা পাট কেনা সম্ভব হচ্ছে না এবং খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহকারীকে বিল পরিশোধ, এমনকি শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশের অর্থ বিতরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ কারণে চলতি মাসের ২২ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কোম্পানিটি। পাশাপাশি কোম্পানির ব্যবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে ব্যাংক হিসাব সচল করতে আদালতের দ্বারস্থ হয় তারা। প্রথম দফা কারখানা বন্ধের মেয়াদ শেষে দ্বিতীয় দফায় ১ মার্চ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নর্দার্ন জুটের পর্ষদ। তবে এ সময়ের মধ্যে আদালতের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা না আসায় তৃতীয় দফায় ৩ মার্চ কারখানা বন্ধের সময়সীমা বাড়ানো হয়।