গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল জীবন বীমা কোম্পানি। গ্রুপ ব্যবসার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে করপোরেট বীমার এক নতুন দিগন্তের সূচনা করছে। প্রথম সারির বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে গার্ডিয়ান লাইফ অন্যতম, যা দেশের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল একটি বীমা কোম্পানি এবং প্রতিনিয়ত এ শিল্পে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছে। এক কোটিরও বেশি মানুষকে বীমা কভারেজের আওতায় এনে গার্ডিয়ান লাইফ বাংলাদেশে বীমা বিকাশের এমন হার নিশ্চিত করেছে, যা গত দশকেও অকল্পনীয় ছিল। দূরদর্শিতা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে গার্ডিয়ান লাইফ বিভিন্ন খাতের জন্য প্রয়োজন বুঝে বিশেষ বীমা সেবা চালু করেছে। এগুলোর মধ্যে গ্রুপ বিজনেস (গ্রুপ বীমা) একটি অন্যতম সফল বীমা, যার মাধ্যমে গার্ডিয়ান লাইফ করপোরেট বীমার ভাবমূর্তির আমূল পরিবর্তন করেছে।
গ্রুপ বীমা পরিকল্পনা কার্যত একটি স্বাস্থ্য/মেডিকেল বীমা পরিকল্পনা, যা একটি নির্দিষ্ট গ্রুপের সব সদস্যকে এর কভারেজের আওতায় রাখে। গ্রুপ বীমা নীতিতে একটি বড় সংখ্যক কর্মীর মাঝে বীমাকারীর ঝুঁকি বিস্তৃত হয়ে পড়ায় প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা একটি তুলনামূলক কম খরচের বিনিময়ে বীমা কভারেজ পান। আমাদের অর্থনীতির ঊর্ধ্বমুখী যাত্রায় গ্রুপ বীমা অনেক প্রতিষ্ঠানের জন্য আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি বহুজাতিক ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি অন্যতম অবশ্যপালনীয়। স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে কর্মচারীদের জন্য কম খরচে এটি একটি আর্থিক অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। স্বাস্থ্য এবং জীবন কভারেজের আওতায় প্রায় তিন লাখ মানুষ নিয়ে গ্রুপ বীমা ব্যবসায়ে গার্ডিয়ান লাইফের অভূতপূর্ব সাফল্যের মূলে রয়েছে এর গ্রাহক সেবা, সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা, উদ্ভাবন, নেটওয়ার্ক ও দ্রুততর বীমা দাবি নিষ্পত্তি।
গ্রাহকসেবা
একটি আদর্শ বীমা কোম্পানির জন্য মানসম্পন্ন গ্রাহকসেবা হওয়া উচিত ব্যবসার মূল ভিত্তি। সেলস টিম, সেবা টিম এবং ২৪/৭ কল সেন্টারের কল্যাণে গার্ডিয়ান লাইফের গ্রাহকরা সম্ভাব্য প্রয়োজনীয় সব তথ্যের ব্যাপারে সবসময়ই অবগত থাকতে পারে। গার্ডিয়ান লাইফ সবসময়ই নিশ্চিত করে, যাতে ক্লায়েন্টের সঙ্গে তথ্যের আদান-প্রদানে কোনো অসংগতি না থাকে।
সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা
করপোরেট গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে এ শিল্পে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে গার্ডিয়ান লাইফ, যা তাদের অল্প সময়েই অন্য সবার থেকে আলাদা করতে এবং নতুন উচ্চতায় পৌঁছতে সক্ষম করেছে। মাত্র অল্প কিছু বছরের মধ্যেই গার্ডিয়ান লাইফ ২২২টি করপোরেট ক্লায়েন্টকে সেবা প্রদান করছে। ক্লায়েন্টদের প্রতি গার্ডিয়ান লাইফের সেবার ধরন অভূতপূর্বভাবে কার্যকর। শুধু একটি সেবা বিক্রি নয়, বরং তারা একটি উপদেষ্টার ভূমিকাও পালন করে থাকে। গার্ডিয়ান লাইফের প্রতিনিধিরা গ্রাহকদের চাহিদামাফিক সবকিছু মূল্যায়ন করে তাদের জন্য সেরা সেবাগুলো গ্রহণে পরামর্শ দিয়ে থাকে।
ব্যবসা নিশ্চিত হওয়ার পর গার্ডিয়ান লাইফ গ্রাহকের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে। তারা একটি পৃথক গ্রুপ গ্রাহকসেবা বিভাগ চালু করেছে, যারা পুরো ব্যবসায়িক মেয়াদ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতের জন্য কাজ করে।
সব ডকুমেন্টস পাওয়ার পর মাত্র পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যেই গার্ডিয়ান লাইফ বীমা দাবি নিষ্পত্তি করে থাকে। শুধু বীমা দাবি নিষ্পত্তিই নয়, গার্ডিয়ান লাইফ এটাও নিশ্চিত করে যেন সব বীমা দাবি দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি হয়। এখন পর্যন্ত গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স খাতে গার্ডিয়ান লাইফ ৯৫ কোটি টাকারও বেশি বীমা দাবি পরিশোধ করেছে। গার্ডিয়ান লাইফের আরেকটি অনন্য দিক হচ্ছে, এর শক্তিশালী হাসপাতাল নেটওয়ার্ক। মোট ৩৪৮টি হাসপাতাল নিয়ে গার্ডিয়ান লাইফ অন্য সবার চেয়ে এক্ষেত্রে এগিয়ে আছে।
নতুনত্বের হাত ধরে বীমা প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপ আরো সহজ ও স্বচ্ছকরণের মাধ্যমে গার্ডিয়ান লাইফ ইন্ডাস্ট্রিকে দিয়েছে এক নতুন রূপ। করপোরেট গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী তারা ইন্স্যুরেন্স সেবাগুলো ডিজাইন করে থাকে। গার্ডিয়ান লাইফের ডিজাইনকৃত ‘প্রিমিয়াম ক্যালকুলেটর’ ব্যবহার করে তাত্ক্ষণিকভাবেই প্রিমিয়াম হিসাব করা সম্ভব। আগে প্রথাগত প্রিমিয়াম ক্যালকুলেশনে বেশ সময় নষ্ট হতো, যা এখন কয়েক সেকেন্ডেই করা যায়। ‘উদ্ভাবন’-এর এমন জয়যাত্রায় বীমা শিল্পের বিকাশকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছে গার্ডিয়ান লাইফ। মাত্র ছয় বছরের মাথায় গার্ডিয়ান লাইফ নিজেদের একটি নির্ভরযোগ্য ও যোগ্যতাসম্পন্ন বীমা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। গ্রুপ ইন্স্যুরেন্সের বাংলাদেশে বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে। গার্ডিয়ান লাইফের লক্ষ্য বাংলাদেশে আধুনিক গ্রুপ ইন্স্যুরেন্সের অগ্রদূত হওয়া।