সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী বলেছেন,‘সোনালী ব্যাংক বড় চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে সব ব্যাংক ৯ শতাংশ সুদ কার্যকর করবে। আগে সবাই কম সুদের জন্য আমাদের কাছে আসত। সবাই সুদ কমালে নিজেদের আলাদা করব কীভাবে। আমাদের টিকে থাকা কঠিন হবে। ভালো সেবা হলে সবাই আসবে। এ জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
সোনালী ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে আজ তিনি এমন মন্তব্য করেন। রাজধানীর একটি সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।
খেলাপি ঋণ আদায়ে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, খেলাপি ঋণ আসলে কত, এ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। অনেক সংস্থা খেলাপি ঋণের সঙ্গে অবলোপন ঋণকে যুক্ত করে হিসাবের পরামর্শ দিচ্ছে। আবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) পুনঃতফসিল করা ঋণকে এর সঙ্গে যুক্ত করতে বলছে।
অনুষ্ঠানে গভর্নর আরও বলেন, ‘খেলাপি ঋণ বাড়লে কিছু সমস্যা দেখা যায়। তারল্য সংকট হয়, ব্যাংকগুলো ঋণ দিতে পারে না। তবে ব্যাংকগুলোতে এখন বিধিবদ্ধ জমা বা এসএলআর সংরক্ষণের পর ১ লাখ কোটি টাকার বেশি তারল্য রয়েছে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তারা দেশকে সামনের এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এটাই আমার প্রত্যাশা।
সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্যে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ‘বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রীর স্বীকৃতি পেয়েছেন আমাদের অর্থমন্ত্রী। আর বর্তমান গভর্নর ব্যাংক খাতকে শৃঙ্খলায় এনেছেন।’
ব্যাংকটির আর্থিক চিত্র তুলে ধরে আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ‘আমাদের অনেক সমালোচনা হয়। আমরা ৩ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ কমিয়েছি। সরকারের ৩৭টি সেবা আমরা বিনা মূল্যে দিয়ে থাকি। সরকারের যেসব ঋণপত্র খোলা হয়, তার কমিশন পেলে আমরা নতুন করে মূলধন চাইব না। বাজার থেকে ডলার কিনে সরকারের আমদানি বিল পরিশোধ করতে হয়। এতে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।’
ব্যাংকটির বার্ষিক সম্মেলনের স্লোগান ‘দৃপ্ত শপথ মুজিব বর্ষে আমরা যাবো সবার শীর্ষে’। ব্যাংকটি ২০১৯ সালে ১৭৩০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করেছে বলে জানানো হয়।