কৃষকের স্বপ্নের সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে। এই লক্ষ্যে প্রতি বছর ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস উদযাপন করা হচ্ছে বলেছেন,বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এছাড়া পাটখাতে অবদানের জন্য সরকার ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় পাট দিবস-২০২০ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়া আগামী ৬ মার্চ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় চতুর্থবারের মতো জাতীয় পাট দিবস উদযাপন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এবারের জাতীয় পাট দিবসের স্লোগান হচ্ছে- ‘সোনালি আশের সোনার দেশ, মুজিববর্ষে বাংলাদেশ’।
এসময় গোলাম দস্তগীর গাজী আরও বলেন, ‘৬ থেকে ১০ মার্চ পাঁচ দিনব্যাপী বহুমুখী পাট মেলা আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাট দিবসের মূল অনুষ্ঠান হবে রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে। এছাড়া তিনি বলেন, ‘কিছু পণ্যের উৎপাদন, সরবরাহ ও বিতরণে কৃত্রিম মোড়কের ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট পরিবেশ দূষণরোধে এবং পাটজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ ও এ সংক্রান্তবিধিমালা প্রণয়ন করেছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পাটপণ্যের প্রসার ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পাটচাষী, পাটপণ্যের উৎপাদনকারী, ব্যবসায়ী, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তা, পাটজাত পণ্যের ব্যবহারকারী, ব্যবসায়ী সংগঠন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনকে সম্পৃক্ত করে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ৬ মার্চ দেশব্যাপী জাতীয় পাট দিবস উদযাপিত হবে।’
আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পাট উৎপাদন গত মৌসুমে দেশে ৭৪ দশমিক ৪৬ লাখ বেল কাঁচাপাট উৎপাদন হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্যে ৬১৬ দশমিক ২০ মিলিয়ন ডলারের রফতানি আয় হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি।
সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ‘এই পাট শিল্পের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি জড়িত। দেশীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে মানানসই পাটজাত পণ্য দেশে ও দেশের বাইরে পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে সমাদৃত।’
সানবিডি/এনজে