মক্কায় পবিত্র হজব্রত পালনের হন্য এ বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে আগামী ২৩ জুন। এ তথ্য জানিয়ে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেছেন, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৯ জিলহজ ১৪৪১ হিজরী মোতাবেক ৩০ জুলাই এ বছরের পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি ১ জিলকদ (২৩ জুন) হজ ফ্লাইট শুরু হবে।
রোববার দুপুরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় গত বছরের চেয়ে এবার ১০ হাজার হজযাত্রীর কোটা বৃদ্ধি করেছে। সে হিসাবে এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজারসহ মোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন মুসল্লি হজে যেতে পারবেন।
ওমরাহ ভিসা বন্ধে সৌদির সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর শতাধিক দেশ সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সৌদি আরব সতর্কতামূলকভাবে ওমরাহ ভিসা ইস্যুকরণ সাময়িক বন্ধ রেখেছে। সৌদি সরকারের এ উদ্যোগ সময়োপযোগী স্বাগত জানাই।
‘আশা করছি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র হজের সময়ের পূর্বেই বিশ্ববাসীকে এ বিপদ থেকে অচিরেই রক্ষা করবেন। অনিশ্চয়তার কথা চিন্তা করে কেউ হজের নিবন্ধনে বিলম্ব করলে তার হজযাত্রার সমস্যা হতে পারে। আগে থেকেই যদি একজন হজযাত্রী হজের প্রস্তুতি গ্রহণ না করেন, তা হলে তিনি এ বছর হজে যেতে পারবেন না’-যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
এমতাবস্থায় হজযাত্রীদের সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধনের পরেই সৌদি আরবে মোয়াল্লিম নির্ধারণ, মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া করা, আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটানোর জন্য সৌদি আরবে অর্থ প্রেরণের কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এর প্রত্যেকটি কাজেরই সময় নির্দিষ্ট, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ কাজগুলো সম্পন্ন করতে না পারলে একজন হজযাত্রীর হজে গমন সম্ভব নয়।
সানবিডি/এনজে