চলতি ২০২০ এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। তবে রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে সেখানে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে ভারত। তাই টুর্নামেন্টটি অন্য কোথাও হবে। কয়েক দিন আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী জানান, এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই হবে দুবাইয়ে।
তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান এহসান মানি জানালেন, ভেন্যু হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি বাংলাদেশও বিবেচনায় আছে। অর্থাৎ দুবাইয়ে না হলে আসন্ন এশিয়া কাপ গড়াবে ঢাকার মাটিতে।
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরে হবে এশিয়ান ক্রিকেটের ময়দানি যুদ্ধ। এর পরেই রয়েছে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেটি মাথায় রেখে এবারের এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। সর্বোপরি টুর্নামেন্টটি কোথায় হবে? গেল সপ্তাহেই এ প্রশ্নের জবাব মিলত।
তবে দুবাইয়ে করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ায় নির্ধারিত বৈঠক স্থগিত করেন বিসিসিআই ও পিসিবিকর্তারা। সভাটি সেখানেই হওয়ার কথা ছিল। স্থগিত মিটিংটি আগামী মাসে হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
গেল শনিবার পিসিবিপ্রধান এহসান মানি নিশ্চিত করেন, নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হতে যাচ্ছে এবারের এশিয়া কাপ। তিনি বলেন, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সহযোগী সদস্য দেশগুলোর আগ্রহ তথা চাহিদা কথা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। পাকিস্তানের মাটিতে খেলার বিষয়ে আগ্রহী নয় ভারত। তদুপরি আমরা এ বিষয়ে তাদের জোর করতে পারি না। সে ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে খোলা থাকছে একমাত্র নিরপেক্ষ ভেন্যুতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা। এসিসির সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে কথা বলেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
সম্প্রতি বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ জোর দিয়ে বলেন, এশিয়া কাপ হবে দুবাইয়ে। কিন্তু ২০১৮ আসরও হয়েছে মরুর বুকে। এ ক্ষেত্রে গুঞ্জন আছে বাংলাদেশে হওয়ার। এহসান মানিও সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি কোথায় হবে, আরব আমিরাত নাকি বাংলাদেশে। তবে এসিসির বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে এশিয়া কাপ আয়োজনে বাংলাদেশকে 'ভোট’ দিতে পারে পাকিস্তান। কারণ দেশটিতে ক্রিকেট ফেরাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন টাইগাররা। তিন দফায় সেখানে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলছেন তারা। স্বভাবতই পিসিবি-বিসিবির মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
তথ্যসূত্র: ক্রিকেট পাকিস্তান ডটকম।
সানবিডি/এনজে