ইতালিতে করোনাভাইরাস মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত ইতালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৩১ জন। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিবিসি তাদের এক সংবাদে দেশটির এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইতালির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটিতে নতুন করে আরও প্রায় ১ হাজার জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের অধিক।
এদিকে, ১২ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দেশটির ভেনিসে ফ্লাইট স্থগিত করছে এমিরেটস এয়ারলাইন। দুবাই ক্যারিয়ার অস্থায়ীভাবে মিলানে তাদের প্রতিদিনের ফ্লাইট তিনটি থেকে কমিয়ে একটিতে নামিয়ে এনেছে। তবে দৈনিক ফ্লাইটটি চলবে, তবে নিউইয়র্কের ফ্লাইট পরিচালিত হবে না। করোনার কারণে এ রুটে ১১ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত নিউইয়র্কে ফ্লাইট পরিষেবা স্থগিত থাকবে। মিলান এবং ভেনিস ছাড়াও ইতালিতে এমিরেটসের অন্য রুটগুলোর মধ্যে রয়েছে রোম এবং বোলোগনা।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের বোলোগনায় ফ্লাইটগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে রোমে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দু’টি ফ্লাইটের পরিবর্তে কমিয়ে একটিতে আনা হয়েছে। এছাড়া এমিরেটস কর্তৃপক্ষ করোনা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায় আছে। এর আগে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ হিথ্রো-ইতালি ও ফ্রান্স-আলবেনিয়া রুটে চলমান ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছিল।
এছাড়াও অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্লাইটসহ কয়েকশ ফ্লাইট বাতিল করেছিল। কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব রুখতে ইতালি সরকার জনসমাগম নিষিদ্ধ করেছে। ফুটবল ম্যাচসহ সব ধরনের স্পোর্টস ইভেন্ট স্থগিত করা হয়েছে। ইতালি সরকারের নিষেধাজ্ঞার খবরে, মানুষজন সুপার শপগুলো থেকে খাবার কিনে রাখার জন্য যুদ্ধ করছেন। সেই সঙ্গে অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কিনে রাখছেন। ইতালির একজন চিকিৎসক তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আমার হাসপাতালে মনে হচ্ছে রোগীর সুনামি শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, বৃটিশ পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বৃটিশ সরকারের কাছে জনগণের নিরাপত্তা প্রধান অগ্রাধিকার। আমরা আমাদের জনগণকে ইতালি ভ্রমণে নিষেধ করছি।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস